ঐ বৃক্ষে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তুমিটাকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে!
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে তোমাকে আরও অপরূপ করে তুলেছে,
সোনালী ধানের ক্ষেত পিছনে ফেলে নীল আকাশের ছায়া পড়েছে দীঘির জলে ,
তোমার সামনে যে পথটা চলে গেছে দূরে বহুদূরে ও পথে আমি ও হাঁটবো একদিন তুমি দেখে নিও সেদিন তুমি আমার সাথে থাকবে তো?
ঠিক ঐ পথের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছো যে তুমি প্যান্টের দুই পকেটে হাতদুটো আড়াল করে রেখেছো ঐ হাতদুটো ধরবো শক্ত করে।
কি ভাবছো তুমি চশমা দিয়ে চোখ দু’টো কে ঢেকে রেখে,
চোখের জল লুকিয়ে রাখবে!
না জানি সেদিন ভেসে যাবে চোখের জলে সব অভিমান নিবিড় ব্যথায় প্রাণ উঠবে দুলে,
কিছুই সেদিন রবেনা বাকি শূন্য হৃদয় প্রাপ্তির সুখে ভরে যাবে অঝরে নামবে বৃষ্টি ।
আজ চুলটা ও এলোমেলো নেই,
এলোমেলো চুলটা যে কপালে থাকলে বেশ লাগে দেখতে ।
একদিন তোমার কপালে আলতো করে হাতটা ছুঁইয়ে জিজ্ঞেস করবো – এখন কেমন আছো?
শরীর ঠিক আছে তো তোমার?
তুমি আর একটা ছবি তে হাসিমাখা মুখ নিয়ে দূরে তাকিয়ে কি দেখছো?
ভাবছো তো কবে দেখা হবে?
এতো সহজ যদি সবকিছু তাহলে এতো কষ্ট কি আর দিন রাত মনে কেও পুষে রাখতো সযত্নে!
মনটা যতো সহজেই তোমার কাছে পৌঁছে যায় সেখানে স্বশরীরে পৌঁছে যাওয়া যায় কি বলো?
তার জন্য তো অনুমতি চাই ধাপে ধাপে।
আর সে জন্যই তো এতো যন্ত্রণা নিরবে সয়ে যাওয়া,
আচ্ছা তুমি ওভাবে তোমার মুখটা ঢেকে রেখেছো কেন?
তোমার ও লাল ঠোঁট কি ঢেকে রাখতে আছে!
তোমার কোমরে বাম হাতটা রেখে দক্ষিণ বাহু তে গাছটা ধরে আছো এক অনন্য ভঙ্গিমায়,
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম অপরূপ একজন ।
তুমি তোমার তুলনায় শুধু একজনই ঐশ্বর্যবান উদার মনের মানুষ।
তুমি আমার সবচেয়ে আপনজন, কাছের মানুষ প্রিয়জন,
আমার জীবন আমার ভালোবাসা।
সোনালী বসু- কবি ও সাহিত্যিক।