আমাকে প্রশ্ন করো বিংশ শতাব্দী কি?
দ্বিধা দ্বন্দ্বহীন মাথা উঁচু হতে হতে আমি
অহংকারী হয়ে উঠেছি ।
প্রকৌশলীর কৌশলে মাটির গভীরে কতটুকু ভিত্তি,
কতটুকু স্থায়িত্ব জানিনা,
কেবলই আকাশ ছোঁয়ার আকাশ কুসুম কল্পনা!
দিবারাত্রি চেয়ে চেয়ে দেখি রাস্তার পাশ ঘেঁষে
ছুটে চলা কর্পোরেট জীবনগুলো।
এদিকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্টের ঘোলাটে
আলোয় ঘুমিয়ে থাকে কিছু ভিক্ষার থালা।
জীবনের জন্য জীবনকে বাজি রেখে সহস্র জীবনের
যানবাহনের যুদ্ধ দেখি,
দেখি কিঞ্চিৎ ভুল হলেই রক্তাক্ত পথের উতরোল।
এবার অন্দরমহলের ভেতরে দৃষ্টি দেই,
একদিকে টাঙানো কর্মচারী জীবনের রক্ত শুষে
নেয়া জোলুকের সাইনবোর্ড।
অপরদিকে শ্রমিকের ঘামে কলকারখানার
উত্তাপ বাষ্পীভূত।
লিফটে অবরুদ্ধ যান্ত্রিক জীবনের অন্ধত্ব,
অবৈধ সম্পর্কগুলো ভুলে যায় বিবেকের তত্ত্ব ,
আমার হৃৎপিণ্ডের কামড়ায় ভীড় করে অপবিত্র
কামের বাসনা।
সিসি ক্যামেরাটাও চতুর শৃগাল,
কেবল প্ররোচিত অসহায় মেয়েটির দেহেই
খোলা রাখে তার শকুনি চোখ ।
আমার নিঃশ্বাস আটকে থাকে বুকের অতলে,
এক একটা জীবনের দীর্ঘশ্বাস আমার উঁচু মস্তক
করে নত।
প্রার্থনা করি ধসে যাবার,
প্রভাতের সূর্যটাই কেবল জানে এ হৃদয়ের হাহাকার।
অথচ,আমাদের করমর্দনে তোমাদের
ফটোগ্রাফী তোলপাড় ।
তবুও বেঁচে থাকতে হয় বিংশ শতাব্দীর উঁচু দালানের গাম্ভীর্যের উষ্ণীষে ।
নাদিরা ইসলাম নাইস _ কবি,লেখক, শিল্পী, ও সংগঠক