Take a fresh look at your lifestyle.

অভিমানি প্রেয়সী

609

সহস্র বছর যাবত আমি আত্মীয়তা করি,
অভিমানকে নিজের আপন বলে ভাবি।
সবাই করে অভিমান,,
কিন্তু কেন???
কেউ কি বোঝেনা অভিমানে থাকে কষ্ট,
সুন্দর মূহুর্ত গুলো হয়ে যায় নষ্ট।

আজ বোধ হয় ধরিত্রী প্রেয়সি হয়েছে অভিমানী,
কেমন যেন গুমরো মুখি।
থমকে আছে, ঘূর্ণন বায়ুর মাঝে,
স্থীর হয়ে, জীর্ণ শীর্ণ বস্র যেন গায়ে।

পথশিশুদের কান্নায় হয়তো এই প্রেয়সি কষ্ট পায়,
ফুটপাতের শুয়ে থাকা মানুষের মুখে সে হাত বুলায়।
প্রেয়সি অতীত সেই সৈনিকের ভালোবাসায় মুগ্ধ,
সেই মহান বীরদের আত্মা, বর্তমান বীরেরা করছে দুগ্ধ।

হাটে ঘাটে রাহাজানি, ধর্ষনের আত্মা চিৎকার,
প্রেয়সি অভিমান দিয়ে জানায় ধিক্কার।
যেন সোনালী সপ্ন গুলো মূহর্তে ধ্বংসস্তুুপ তৈরি করে,
সেই অতীত সোনালী দিন প্রেয়সি আজও খোজ করে।

প্রেয়সির জন্য জান মাল সম্মান দিল কতোজন,
আজ দরকার নেই যারা শুধু মুখেইকরে সব আয়োজন।
পতিশ্রুতি রক্ষা করনা কেমন প্রেমিক তুমি,
ধিক্কার,,,,,,,,
বিদায় হও প্রিয় তুমি, ঘারে হাত রাখার আগে।

তুমি প্রিয় গঙ্গাপূজায় বিভর,
আবার গঙ্গায় হিসু করতেও সহেনা তর।
জানে তো সেই ধর্ষিতা,যে গুরুজনের শিকার।
জুতো খুলি দেখে তোমার অঙ্গিকার।

প্রেয়সি আজ বেজার প্রিয়দের ভালোবাসায়,
আত্মহত্যা করতে চায় অভিমানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেবায়।

এই অভিমানের কি হবেনা শেষ,
কেন এ অভিমান প্রিয়,আমাদের তরে।
কিছু অভিমান যে যনত্রনা দেয় জীবন জুড়ে।
হয়তো গুমরে, মুছরে হৃদয় চৌচির হয়ে জ্বলে,
নয়তো ফ্যাকাশি স্বপন দেখে, আখি জলে।

কিছু অভিমান খুব! খুব! কাঁদায়,
কিছু অভিমান কান্না লুকিয়ে হাসায়।
তবুও বাঁচতে হবে, হিংস্র পশুদের সাথে,
নিরব থাকতে হবে যতই কষ্ট লাগে।

ঘূর্ণন বায়ুর মাঝে দাড়াও সকাল সাঝে,
চোখ খুললে ময়লা,, কান বেরুলে কীটপতঙ্গ, হাত ঘোরালে সূঁচালো বাতাস,পা তুললে মাটিতে নিবাস।
তাই আজ নীরব,,,

 

শরিফা খাতুন – কবি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.