শরৎকন্যা পণ করেছে যাবে না শ্বশুর বাড়ি
থাকবে সে যে বাপের ভিটায় যাবে না কভু ছাড়ি।
বাপের বাড়ি এসেছে সে যে বহুদিনের ছুটিতে ,
বিদায়ের লগ্ন এসেছে কাছে বাদল টুটিতে।
কাঁদছে তাই সকাল থেকে মুখ করেছে ভারী,
বারবার বলছে যাব না আমি বাপের ভিটা ছাড়ি ।
সঙ্গ দিচ্ছে মেঘের দল হুমকিতে গুড়ুম গুড়ুম ,
ভয় দেখিয়ে থাকার পথ করছে যেনো সুগম।
কি লাভ হবে আমাদেরকে এমন ভয় দেখিয়ে ,
তার বাবা প্রকৃতি তাকে ঠিকই দিবে বিদায় জানিয়ে।
এমনটা শুনে শরৎকন্যা কাঁদছে আরো বেশি,
মেঘের সাথে অভিমানে করছে রেষারেষি।
অনেক বুঝিয়ে মেঘ বললো আবার তুমি এসো,
বছর পেরুলেই আনবে তোমায় ভাদ্র- আশ্বিন মেশো।
দুই মাস থেকো তখন তুমি আরাম আয়েশ করে ,
বাপের ভিটায় আলো ছড়িয়ে দিও মন ভরে।
অনেক বোঝানোর পর শরৎকন্যা বুঝলো একটু তবে,
এখন থেকে প্রতি বছর দুই মাস করে রবে।
অভিমানী শরৎকন্যা হাসলো বেলা শেষে,
আকাশকে রাঙালো শুভ্রনীলে দাড়ালো এলোকেশে।
আলো- কবি ও সাহিত্যিক।