সাবলীল সব ভোগ করার হকদার যে আমি!
এ আমার সহজাত অনুভব, নির্লিপ্ত মনের।
আমাকে দিয়েছেন এই নেয়ামত আমার রব!
কিন্তু সেই আকাশ কিংবা মাটির নিজের হক কি?
যখন নীলআকাশ ছুঁয়ে থাকে চোখের তারায়
অসীম ভালোলাগায় —-
ভেসে যেতে ইচ্ছে করে পাখির ডানায়।
মৃত্তিকায় পা ফেলে হেঁটে যেতে যেতে বহুদূর
মনে মনে ভাবি মাটির মত এতোটা আপন কেউ কি হয়!
আমার দেশের মাটি,গভীরে প্রোথিত আমার শেকড়।
কখনো কি মনে হয়নি এই আকাশ, মাটি কেন এত নিজের হয়ে আছে!
কেন তারা এত অনুগত! কার নির্দেশের!
আকাশের ধর্মই তো ইনশিকাক
অর্থাৎ বিদীর্ণ হয়ে ছিড়েখুঁড়ে পড়া!
তবে কেন স্তরে স্তরে পরিপাটি বিন্যাস! কোমল আয়েশে মেঘের ভেসে চলা দিনমান!
আসলে সে অনুগত মহান প্রভুর!
নিরুদ্বেগে তাই কি চলেছে বয়ে নতজানু মহিমায়।
কখনো কি স্বরূপে আসেনি? সাইক্লোন কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে
আকাশের রুদ্র রূপে দেখনি কী ভয়ংকর!
মূহুর্তকাল স্বরূপে খুব ভীতিকর! থরথর কম্পন বুকের মাঝে ভয়ে —-
আবার নিমিষেই শান্ত হয় মহান প্রভুর নির্দেশে।
মাটির স্তরকে যতটাই নিরাপদ, স্থবির, বিকারহীন মনে হয়
আবার প্রচন্ড ভূমিকম্পে ফেটে চৌচির হয়ে যায়
এই শক্ত মাটির আবরণ!
প্রতিটা জিনিসই তাই নিজস্ব পথে চলে না,
নেয়ামত হয়ে আছে মানুষের, স্রষ্টার নির্দেশে।
অথচ মানুষ কতটা পালন করছে স্রষ্টার নির্দেশ!
অফুরন্ত নেয়ামতে ডুবে আহ্লাদে মেতেছে অন্যায় অভ্যাসে!
ভুলে গেছে একদিন সব নেয়ামত,
নিজস্ব কীর্তিতে স্বরূপে আবির্ভূত হবে —–স্রষ্টারই নির্দেশে!
কোথায় পালাবে মানুষ! সেই কেয়ামতের দিনে!
হিসেব দিতেই হবে, কড়ায় গন্ডায়
যতটুকু লেখা আছে আমল নামায়!
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক।