আজি ভিখারি তোমার দাঁড়িয়ে দুয়ারে
ক্ষুধিত প্রাণে করে আহাজারি,
বুভুক্ষ চিতার কুণ্ড জ্বলে
ভানু দেবী অস্তাচলে
ক্ষুধিতের বক্ষ ভাসে অশ্রুজলে,
তুমিও কি নিঃস্ব হারিয়ে সর্বস্ব?
অভাবানলে পুড়ি হয়েছ চিরভিখারি।
আমি শূন্যতায় শুনি শূন্যতার ধ্বনি
তোমার বক্ষের দহন জ্বলনি,
দেহ মনে ক্ষত রক্তক্ষরণ অবিরত
তাই বুঝি হলোনারে প্রণয় জাগ্রত,
তোমার বিদগ্ধ হৃদ পিঞ্জরে
ওগো মোর প্রণয়ের প্রণয়িনী।
তুমি ছিলে ঐ দূর নীলিমার নীলে
অব্যক্ত অভিমানে মিটিমিটি জ্বলে,
দুঃখির ভাঙা ঘরে প্রভা নৃত্য করে
স্বর্ণ আলোক বন্যায় চিত্ত সরোবরে।
যে আশার আলো তুমি জ্বেলেছিলে,
আমার তৃষিত বক্ষ তলে।
ক্ষণিক আলো করে বিকিরণ
বাড়িয়ে দিলে আঁধারের দহন,
ক্ষণে দীপ্তিময় আলো ক্ষণে নিকষ কালো
তুমি কি আলো, নাকি আলেয়া?
নাকি চন্দ্রকলার কলঙ্কিত গ্রহণ।
তোমারই মাঝে খুঁজি প্রিয়
আজন্ম আঁধার দ্যুতি,
করুণার ছলে দাও গো জ্বেলে
দাহ করোনা নিদারুণ প্রণয় অনলে
বঞ্চিত প্রাণের এই আকুতি।
এত ব্যথা এত হাহাকার—-
নিয়ত ভাঙে বুকের পাঁজর,
তুমি সুখ সঞ্চারিনী হবে কি জীবনে?
মোর বিদগ্ধ আঁখি ঐ কোমল বুকে রাখি
জুড়াবো তাপিত অন্তর সুখের সঙ্গোপনে।
এস,এম, মোতাহার হোসেন –
কবি ও সাহিত্যিক।