শর্ত ছিলো রবে অটুট-রাখবে নিরাপদে,
ক্ষতির কোন শঙ্কা নাহি-পাবে না আপদে।
দিলে যেমন মিলে তেমন-প্রয়োজনের কালে,
কষ্মিকালে ধরবে না তা-পড়লেও আকালে।
গচ্ছিত মাল ফেরত যখন চাহি,
টালবাহানার হবে শুরু-মাল যে সেথায় নাহি!
আমানতের জামিনদারির-হয় খেয়ানত চরম,
ধর্ম বাণী অসার হেথায়-উল্টো হবে গরম!
শর্ত ছিলো বলবে না সে-তাহার বলা কথা,
পড়লে চাপে রাখবে খাঁপে-গোপন যথা যথা।
পক্ষী কাকে টের পাবে না-রাখবে গেঁথে মনেই,
হায় আফসোস! ফাঁস করে দেয় অল্প কিছুক্ষণেই!
কসম-কীড়া যতোই কাটুক-ভাঙবে অবলিলায়,
তাহার কথা রয়না পেটে-জানছে অরুণ,শিলায়।
কথা কাজের জামিনদারির মর্ম নাহি জানে,
স্বার্থে নিজের ফাঁস করে তা-উল্টো আঘাত হানে!
তবু সবাই আস্থা রেখে -যাচ্ছি তাঁহার কাছে,
করছি প্রকাশ গোপন কথা-বস্ত অনায়াসে।
গচ্ছিত মাল দেয়না ফেরত-চাইলে তাঁরে শাসায়,
আমানতের হয় খেয়ানত-করছে সর্বনাশায়!
গোলাম ফারুক –
কবি ও সাহিত্যিক