পিতৃপ্রদত্ত নামটি আমার অনেক দীর্ঘ নাম
গজ ফিতায় শুইয়ে দিলে হয়ে যাবে
কেচ্ছা একখান।
সেই নাম আজও বেঁচে আছে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে হয়ে ছিট্টিছান।
মাস কয়েক স্কুলে মাষ্টারী করতে গিয়ে
আমার নামে পড়ে কষে একটান,
হেড মাষ্টারের নামের সাথে গিট্টু বেঁধে
নামটি আমার
শ্রদ্ধাভাজন হেড স্যারকে করে যায়
নিঃশব্দে অপমান।
বাধ্য হয়ে নামের লেজ ছেটে দিয়ে
সখের নামকে নিতে হয় চারবর্ণের
করে অসমাপ্ত এক উপখ্যান।
আরো পরে মাষ্টার পদে রং লেগে
হয়ে যাই আমি প্রভাষক একখান
পদবীর সাথে দৌড়ে গিয়ে নামও
হয়ে যায় বলিষ্ঠ স্পন্দমান
ব্লাকবোর্ডের কোনে ক্যাডেটরা লিখে
স্যার হাসনাত হারুন।
যদিও তারা মাঝে মধ্যে আমার কাজে
কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে,আড়ালে আবড়ালে গিয়ে
আমার নামের ঠুঁটি ধরে দিয়ে বসে
ডাকাত সরদারের হাসি একখান।
যদিও সেই সব পুরনো কথা
আর্য মৌর্য দ্রাবিড় সভ্যতার পাথরে আঁকা
তবুও আমি সেই কালেতে
জলে স্থলে অন্তরীক্ষে
ছাত্র সহকর্মী পরিচিত সবার কাছে
বেঁচে ছিলাম হয়ে হাসনাত হারুন।
বছর কয়েক আগে ফেসবুকের আইডি
আমার হ্যাক করে নেয়
কোন এক মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া
এক ইবলিশ শয়তান।
নতুন আইডি খুলতে গিয়ে হাসনাত হারুন
নামটি লিখলে ফেসবুক আমাকে বলে বসে
এসব ধান্ধা বাদ দেন ভাইজান।
ফেসবুক কে খুশি করতে
নিজের নামে কোপ বসাতে
নামটি আমার উল্টে গিয়ে
করে মুখ ব্যাদান।
সবার জ্ঞাতার্থে আমার অনুরোধ
নামটি আমার হারুন হাসনাত নয়
হবে সেটা হাসনাত হারুন।।
হাসনাত হারুন- কবি ও সাহিত্যিক।