আমি খুব ভালো আছি জানো!
আমি কারও অপেক্ষায় থাকি না আর;
কাউকে অপেক্ষায়ও রাখি না আমার।
আমি কারও ঘুম ভাঙ্গা সকালের সিথানে হাঁটি না,
কারও চোখের চশমায়;
আমার নামের অক্ষর আঁকি না।
আমি খুব খুব ভালো আছি জানো!
আমি কারোরই অপেক্ষায় থাকি না।
সেলফোনের স্ক্রিনে আমার কোনো হুটোপুটি নেই,
নেই কোনো লুকোচুরির বালাই।
রাত দুপুর কিংবা কাজের অবসরে,
ঘুম পলাতক কোনো কবিতা কিংবা গানে;
আমি আর কারও বার্তা খুঁজি না।
বুকের পাঁজরে হঠাৎ দীর্ঘশ্বাস আটকে গেলে,
শ্বাসপ্রশ্বাসে খুব কষ্ট বিঁধে গেলে;
আমি কারও নামের অক্সিজেন খুঁজি না।
আমি খুব খুব ভালো থাকি জানো!
আমি আর কারও অপেক্ষাই করি না।
আমি কেমন একলা হয়ে,
একলাই থাকি সারাবেলা;
একাকিত্বে ডুবে কাঁদি না আর কান্নার খেলা।
হৃদপিণ্ডে আমার হামলে পড়ে না কোনো স্মৃতি,
আমার বোধ চৈতন্য যে বিবশ করেছেন বিধি।
আমি ঠিকঠাক আমাকেই দেখি না ভাজ খুলে,
কেউ তো পড়ে না মনে পোড়া এ মনের ভুলে।
আমি খুব খুব ভালো আছি জানো!
আমি আর কারও অপেক্ষায় থাকি না আজকাল।
আমি ভুলে গেছি সব ভুল ভুলের অভ্যাসের ভুলে,
নিজের মুখখানি নিজেই দেখি না আর আরশিতে তুলে।
ভুলে গেছি খৈয়ামি রুবাই, মধুসূদনের সনেট,
রবীন্দ্র, নজরুল।
কোন সে ভুল ভুলাইয়া ভুলে,
ভুলে গেছি ফ্রানৎস কাফকাও!
তাইতো আমি খুব ভালো আছি জানো!
অপেক্ষায় থাকি না কোনো দর্শন কিংবা কাব্যেরও!
নাজনীন নাহার – কবিও সাহিত্যিক।