এই আমি অন্য কেউ!
এই কবিতা আমার , স্বপ্নে বোনা এক নিঃশব্দ প্রহর।
যেখানে জোছনা ঝরে,যেন আকাশে প্লাবন হয়ে
হাতের রেশমি চূড়ির রিনিঝিনি সুরের তালে
বুকে ঢেউ হয়ে যায়, এক কিশোরীর মায়া দোলে।
হৃদয়ের নিরালা গল্পকথন
কখন যে নীলাম্বরী মেঘ হয়ে উড়ে গেছে ——
এক টুকরো রোদকে নিয়ে!
যা ছিলো খয়েরী শালিকের ঠোঁটে!
তবু আমি জোছনায় ডুবি ডাহুকের মত,
ডানা মেলি রাতের নৈঃশব্দ্যে!
ওম দেয়া বুকের ভিতর,শৈশব-কৈশোর!
সেই ধানসিঁড়ি নদী! নৌকায় ভেসে যাওয়া ঘোলাজলে
দুপুরের আবছায়া ছায়ায়,খুঁজে ফিরি সেই বাঁশীওয়ালাকে!
স্মৃতিগুলো মিহিদানার মত মিলিয়ে যায়
সময়ের পালতোলা নৌকায়!
অতঃপর জীবন বন্ধক রেখে কবিতায় শব্দ গাঁথি,
মোহমেঘে অন্ধ হই! কল্পিত আরাধ্য প্রেমে মুগ্ধ হই!
কোজাগরী রাতে চন্দ্রভুখ আত্মা বোহেমিয়ান জীবন খুঁজে
বুনো হাঁসের পিছনে ছুটে চলা কিশোরীর মত!
বহতা নদীর বুকে নৌকায় উড়াতো যে সাদা পাল মাঝি!
দূর দিগন্তে সীমানা ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছায়
কতবার নাবিক হবার সাধ হয়েছিল মনের ভিতর!
অথচ সকাল- সাঁঝে আজও আটপৌরে গল্পে জীবন কাটাই।
সব কিছুই এখন কবিতায় বন্দি শব্দের খেলায়।
নিজেরই অজান্তে,জীবন এখন স্মৃতির মমি হয়ে গেছে।
পাখির ডানায় রোদ!,ঘাসফড়িংয়ের লুকোচুরি!
কুয়াশার আস্তরণে নিজেকে লুকিয়ে ফেলা!
মায়াবী চাঁদের মুখোমুখি বসে থাকা —–সে এক অন্য জীবনের গল্প!
এখন আমার খরায় কাটানো মন, আঁধারের গল্প শোনে।
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি ও সাহিত্যিক।