একটা জীবন্ত মানুষ কতটা স্বাধীন
কতটা তেজী কতটা বেগবান ।
কখনো ঝড়ের মতো স্রোতের মতো
ধুলো উড়ায় ঘোড়ার খুরের আঘাতে।
ডিনামাইট দিয়ে পাহাড় ভাঙ্গে
সমতল ভূমি বানায়
অথবা বসবাসযোগ্য করে তোলে
মানব জাতির জন্যে।
আকাশের মেঘ মালা কে ঝরাতে পারে
ইচ্ছেমতো প্রযুক্তি দিয়ে।
ভূ- উপগ্রহে ছবি উঠায় প্রয়োজন মাফিক।
প্রাকৃতিক সম্পদ আবিষ্কার করে
যুগে যুগে কালে কালে।
তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে বিশ্বটাকে
আজ হাতের মুঠোয় পুরেছে।
অথচ এতটা অকৃতজ্ঞ যে
আপন শিরা উপশিরায় প্রবাহিত প্রাণের স্পন্দনকে
উপলব্ধিতে আনতে পারে না!
দিনে থাকে কর্মমুখর
রাতে গভীর ঘুমে বিশ্রাম
সব ক্লান্তিকে কাটিয়ে ওঠে
আবার নব কর্মোদ্যোমে ছড়িয়ে পড়ে।
যদি ঘুম থেকে আর না জাগতো
না দেখতে পেতো নয়নাভিরাম ভূ-মন্ডল কে।
তখন কেমন হতো
হয়তো লাশ কাফনে জড়ানো
জানাজায় সমবেত জনতা
মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় ব্যস্ত।
নির্জন গোরস্থানে সাড়ে তিন হাত কবরে
সঙ্গী সাথী হতো
বেজি শেয়াল বিষাক্ত সাপ বিচ্ছু।
কদিন পরে কবরটাও ভেঙ্গে গিয়ে
নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়!
একটা জীবন্ত মানুষ কত অবচেতন!
কতটা অসহায় তখন!
এটাই তো জীবনের চূড়ান্ত পরিনাম !
সরদার মুক্তার আলী – কবিও মডারেটর চেতনায় সাহিত্য।