সেখানে কি জীবন আছে?
বাস্তবের কঠিন আঘাতে দুমড়ে মুচড়ে
কেনো ভেঙ্গে যায়না সে সব সুখ নিলয়।
সুখ ঐশ্বর্যে ভরা স্বপ্ন
নতজানু বয়সের ভারে।
স্বপ্নরা আজ অনেক ভারী
নিঃসঙ্গতা আর একাকিত্বের দংশন বুক জুড়ে।
কুঁচকানো চামড়ায় আবৃত কিছু হাড়গোড়
বয়ে নিয়ে বেড়ানো জীবন্ত একটা লাশ
বয়সের ওজনে ব্রাত্য প্রিয়জনের কাছ থেকে।
চোখ থেকে নিমিষেই ঝরে পড়ে
সোনালী বছরগুলো।
দূর বহুদূর পথের প্রান্তরে ফেলে আসা
আঁচলের চাবির গোছা
আলনায় ঝোলানো কিছু পুরনো কাপড়।
ফেলে আসা কিছু চোখের জল
কেমন আছে দূর্লভ সে ক্ষণ?
খোকার দেউড়ি থেকে বাতাসে ভেসে আসে
বিন্নি চালের আঠালো ভাতের ঘ্রাণ।
আজ বোধহয় খোকা আসবে একবাটি
নরম সে সুবাসিত ভাত নিয়ে।
নিজ হাতে খাইয়ে দেবে, এলোকেশ বেধে দেবে
কতদিন হয় ওর সোনামুখ
আঁচলে মুছে দেইনি।
আশির্বাদের কাঁপা কাঁপা হাত উদ্বেলিত আজও
ওর কপোল ছুঁয়ে দেওয়ার অপেক্ষায়।
স্মৃতির বায়োস্কপে কিছু অমলিন স্মৃতি
ছুটে চলে বারবার চিরচেনায়।
সম্পর্কের পাঁজরেও কি ঘুনপোকা লাগে?
তবে কি একান্ত আপন এই
” একটু ঠাঁই ” বৃদ্ধাআশ্রম??
পারভীন আকতার – কবিও সাহিত্যিক।