খরা রোদ্রে হেমবর্ণ দেহ
আমার অযত্ম মন অস্থির হয়ে আছে!
আমি প্রজাপতির মত উড়ে যেতে চাই…..!
ঐ নীলিমার হিমাদ্রী বনে।
তোমার স্পর্শটুকু ছোঁয়াও যদি আমার ছেলেমানুষি ডোল পড়া দু’গালে;
নয়তো হিসাব মেলাতে
এবার আমি মৃত্যু’র হাত ছোঁয়াবো!
যদি ভুল করেও একটু ভালোবেসে আমায় কাছে ডাকো!
সাড়া আমি দেবো,,,
“মনে পড়ে”
সেই অচেনা অরণ্যে নীল নীল নীলে……
দেবদূত দেবালয় পৃথিবী ছেড়ে!
এক নবান্নের ধান ক্ষেতে অপরূপা
আমি এক রমণী!
তুমি অচেনা এক আগন্তুক হয়ে এসেছিলে—
উষ্ণ প্রস্রবণ আমার স্মৃতির জল চুপসে নিয়েছিলে নিবিড় হাতে”
কত হেয়ালীপনায় দৌড়ে ঝাঁপটে ধরেছিলাম তোমার হীম বুকে!
আমি অমরত্ব দান চাইনা?
ধন্য করো “প্রিয়”
অস্থির মন মুক্তি চাই?
প্রক্ষালণ করে নাও আমার অদৈর্য্যতার মুষ্টিবদ্ধ হাতের লাগাম
আমি আধো জাগা এক নারী!
কৈশোর কেটেছে আমার বাঁধ ভাঙা বালির আবরণে—–
নয়তো খেলার ছলে
আমি ছন্দহারা তেপান্তরের মরুদ্যান ঘুরা উন্মত্ততা অবগাহনে পোড়া!
দুঃখে চাপা এক পাহাড় ধসা
বিংশ শতাব্দীর ঘূর্ণিঝড় বহা
অস্তিত্ব নুয়ে পড়া স্পর্শহীন অস্থির এক নারী!
আমার অযত্ম মন অস্থির হয়ে আছে
এসো চোখে চোখ রাখি!
নামুক আঁধার-
সন্ধ্যা অথবা নিথর রাত্রি!
ভালোবাসা দাও___ সমস্ত রাত্রি!!
বুকের মধ্যে সমূদ্রের উত্তাল ঢেউ
উপচে পড়ুক রাতের গোধূলি।।
মিতা- কবি