Take a fresh look at your lifestyle.

ওগো সোনা মেয়ে

488

 

ওগো সোনা মেয়ে!
প্রিয় সোনা মেয়ে আমার,
তুমি কেমন থাকো আজকাল!
কতদিন তোমার কাছে যাওয়া হয় না,
তুমিও আসো না কত কত দিন রাত বছর;
তুমি আসো না আমার হৃদ কুঠরীর চৌরাশিয়ার বাঁশির মোহন সুরে।
খুব করে তোমার পাশ ঘেঁষে বসা হয় না বহুকাল,
হয় না অপলক তোমার মায়া চোখের জল সমুদ্রে,
নিষ্পলক ডুবে থাকা।

তোমার কপালের চূর্ণ চুল সরিয়ে দিতে গিয়ে,
তোমাকে স্পর্শ না করতে পারার যাতনায়;
আমার আঙুলগুলো নির্ঘুম দীর্ঘশ্বাসে পুড়ে।
তোমার ওড়নার আঁচলে বাদামের খোসার মত,
পড়ে থেকে উড়ে যায় আমার অপেক্ষারা।
তোমার চিবুকের বৈশাখে পান্তা-ইলিশের বিকল্প খুঁজতে খুঁজতে,
পোড়া মরিচের ঝাঁজে তলিয়ে যায় কাঁচা পেঁয়াজের খোসা।

সোনা মেয়ে!
তুমি কী ভীষণ মৌন উদাসীনতায় আমাকে ছেড়ে আছো,
ছেড়ে আছো দীর্ঘ বরষের তোমা কতৃক বরাদ্দকৃত,
তোমার অভিমানের লাক ডাউন, শাট ডাউনের কড়াকড়িতে!
আজকাল আমার ঘুম হয় না,
আমার ঘুম হয় না সোনা মেয়ে।
পাকস্থলীর ক্ষুধারাও কেমন মিইয়ে পড়ে থাকে;
নির্জীব ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ আঁকড়ে ধরে।
শুধুমাত্র তুমি নামের তৃষ্ণারা হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যায়,
হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্কের নিউরনে।
যেখানে তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে,
ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে যায় আমার প্রণয় বুভুক্ষা অস্তিত্বের অন্তিম!

সোনা মেয়ে!
আমি আর এক মাইক্রো মুহূর্তও,
তোমাকে ছাড়া নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।
পারছি না তুমি হীন নগরীর এক বিন্দু আলো বাতাস গ্রহণ করতে।
ফিরে এসো সোনা মেয়ে,
ফিরে এসে আমার নিঃশ্বাসে সঞ্জীবিত করো;
তুমি নামের বিশুদ্ধ প্রণয় অক্সিজেন।
আমি তোমার চোখেই আরও একবার পৃথিবীর রঙ দেখতে চাই,
দেখতে চাই ভোরের আলো, দুপুরের গৃহস্থ রোদ্দুর;
আর ঘুমাতে চাই তোমার বারো হাত শাড়ির রাতের খুশবুতে।
আমাকে তুমি তোমার নিঃশ্বাসের জিয়নকাঠিতে,
ছুঁয়ে দাও।
ছুঁয়ে দাও তোমার কখনও না ফুরানো অমরত্ব প্রণয়ে।
আমি তোমাতেই বিবশ থাকতে চাই,
বিবশ থাকতে চাই তুমিময় অমরত্বের প্রণয় কবিতার অরণ্যে।

নাজনীনে নাহার- কবি, লেখক,সাহিত্যিক,সংগঠক

Leave A Reply

Your email address will not be published.