কেন শূন্যতার ঝুলনায় দোল খাও
মধ্যাহ্নের ঝিম ধরা উদাস প্রান্তরে!
সুখ সুখ দুঃখ দুঃখ খেলা তোমার জন্য নয়—-
তার চেয়ে তুমি গাঁথো শব্দের ঝংকার বেলোয়াড়ি ঐক্যতানে—
ধ্যানমগ্ন হও হৃদয় তানপুরায়!
বেমানান তোমার কপট খোলসে বন্দী হয়ে
আটপৌরে সংসার সমুদ্রে ভাসা,
অথচ তোমার মনের গহীনে ঢেউ খেলে হাজারো কবিতা! আতশবাজির বর্ণচ্ছটা!
আলোকিত করো ধ্রুপদী আলোয় হৃদয়ের ভেজা পলিমাটি।
মৌনতার শিখরে ছোঁয়াও তুষার শুভ্রতার জলকনা!
কে বলে তোমার হাত ধরে কবিতা হাঁটে না!
মেঘমেদুর আকাশের নীচে!
সেই সন্ধ্যানদীর বালুচরে! শোনেনি কি আজও
ফিসফিস করে বাউড়ি বাতাসের গুঞ্জরন
“নীলাদ্রিতা! আমি কবিতা, কতদিন বলতো জোনাকির আলোয় ডাকোনি আমায়!
এবার ভরা জোছনায়ও মুখ ফিরিয়ে রইলে অভিমানে!
অথচ হাজার নক্ষত্রের আলোয় আমাকে সাজাতে
কত ঐন্দ্রজালিক মায়ায়—-
নৈঃশব্দের সুরে আলপনা আঁকতে বর্ণে বর্ণে রাতের ক্যানভাসে!
তোমার ভালোবাসার মায়াবী ঘ্রাণে আমি অবগুঠিত থাকি কবিতার কবোষ্ণ সৈকতে!
আবারও তুলে নাও আমায়! কষ্টের তীব্রতায় ন্যুব্জ তোমার মনের মন্দিরে—-
আমাকে প্রকাশ করো পরিপূর্ণতায়!
আত্মার মুক্তি হোক সশব্দে, নিঃশব্দে ভালোবাসার ভ্রুণ হত্যা মানায় না তোমাকে, হে অভিমানী কবি!
অভিমানের জমাট মেঘ ম্লান হয়ে যাক তোমার মুখের উদ্ভাসিত আলোকছটায়!
করতলে মুঠোবন্দি করো নিভৃতে আলোকিত করা শব্দশৈলীকে —
তোমার কবিতাকে!
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি ও গবেষক।