কবিতায় আমি কি বলব?
আমি কি লাশের কথা বলব?
কিংবা আতঙ্কের কথা!
সন্ত্রাস চাঁদাবাজি
ছিনতাই,খুন,হত্যা রাহাজানি!
না কি মানুষের মনের অবিশ্বাসের কথা?
আমি কি গুলির শব্দের কথা বলব?
না কি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের আগুন ঝরানো
লোলুপ জিহ্বার কথা?
কিংবা সেই বুলেটের কথা
যে টা হৃৎপিণ্ড ছিদ্র করে ছুটে যায় অনন্তের দিকে?
অথবা থামিয়ে দেয় মহামতি বুদ্ধের অমর বাণী
“অহিংস পরম ধর্ম?
আমি কি ধর্ষনের কথা বলব?
অসহায় নারীর বুকফাটা চিৎকার
কুকুরের দল শরীর চিরে খাবলিয়ে খায়!
না কি আমি এসিডদগ্ধ নারীর
আত্মচিৎকারের কথা বলব?
একি বিভৎসতা, একি নিষ্ঠুরতা,
এটাই কি আধুনিক সভ্য সমাজ?
আমি কি বলব ভেবে পাই না আজ!
মনের মাঝে মনুষ্যত্ব ডুকরে কাঁদে
রাস্তায় ঘুমানো পাগল ভিখারিনী
তার গর্ভেও সন্তান ধরে…!
এ কোন সভ্য মানুষের সমাজ!
আমি কবিতায় কি বলব আজ!
স্বয়ম্ভুর দৃষ্টিতে ফুটে ওঠা
চঞ্চলা স্রোতস্বিনীর কথা বলব
পাহাড়ের গায়ে ফোটা
হাজারো ক্যক্টাসের কথা বলব?
ইদানিং
প্রায়ই পাহার ধ্বস হয়,
পর্বত উপত্যকায় উদ্গীরণ হয় অগ্নি
পাহাড়গুলোর অভ্যন্তরে ফুঁসে ওঠে আগুন!
প্রায়ই শুনি ভুক্তভোগী মানুষের আহাজারি।
আমি কি মৃত লাশের কথা বলব?
কিংবা অবিনাশী জীবনীশক্তির কথা
বলব কি মরুময় তৃষ্ণার কথা?
না কি বলব মানুষে মানুষে ভালোবাসার কথা।
প্রশ্ন রেখে যাই সমাজের উচ্চবর্গের কাছে
আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা কোন সমাজ রেখে যাব?
রাজিব হাসান-কবি,লেখকও সংগঠক