কাটছে দিবস হাসি খুশি
হঠাৎ রাত্রি এলো,
সবার আশা,প্রাণের আবেগ
করতে এলোমেলো।
আমরা সবাই ভেবেছিলাম
আসবে হয়তো সে, না।
এমন সময় অন্ধকারে ,
দিলো হঠাৎ হানা।
একটু জ্বর আর গলাব্যাথা একটুখানি কাশি,
শহর ও গ্রাম উজার করে, মুছে মুখের হাসি।
বুকের মাঝে দুহাত চেপে,
আটকে দমে ওঠে কেঁপে,
এক নিমেষে যায় যে নিভে জীবন প্রদীপ খানি,
অবেলাতে বাজে বুঝি ছুটির ঘন্টা ধ্বনি।
ক্ষণে ক্ষণে ভয়ে মরি,
আসে ধরায় মহামারী।
একেকবারে দেখি একেক রূপে,
আমরা বলি ও কিছু নয় থাকো চুপে চুপে।
পাড়ার লোকে জানতে মানা,
বিপদ আরো দিবে হানা,
প্রতিবেশী দিবে তালা ঠুকে।
এটাই ভাল, জানুক সবাই নিরাপদে
আছি কত সুখে।
হাসতে সবাই ভুলে গেছে
আতংকে আজ ডুবে আছে
কি হয়!
একটাই ভয় সংগোপনে
পার কি হবো ভাবে মনে
মেটে নাতো সংশয়।
পরলো পায়ে বেড়ি সবে, বাইরে যেতে মানা,
ক্ষুদ্র একটা অনুজীবে, জীবন ফানা ফানা।
রাত্রি নামে, অমানিশা ঘোর,
ওঠো সবাই জাগো এবার, আর হবেনা ভোর।
অন্ধকারে চলতে হবে পথ
সাথে আপন রথ
মরণদুয়ার খুললো বুঝি ওই,
এক হাতে এ জীবন থাকে অন্য হাতে মরণ নিয়ে রই।
বাঁচার লড়াই, বাঁচতে লড়াই,
অন্ধকারে পথে হারাই,
দূরের বাদ্য শুনতে যে পাই ,
ফাঁকির মাঝে ঘুরে বেড়াই।
ভরসা যত আশ্বাসে পাই,
বিশ্বাসে তাই বস্তু মিলাই।
কাটবে কি এই মহা অমানিশা?
আর কি পাব খুঁজে পথের দিশা?
জাগবে ধরা নতুন করে জাগবে
বাঁচবে সবাই নতুন আশায় বাঁচবে।
সে আশাতে বেঁচে থাকা,
নতুন করে স্বপ্ন দেখা,
স্বপ্ন দেখি নতুন ভাবে,
স্বপ্ন দেখি নতুন সাজে।
শামিমা নাসরিন- কবি