তোর প্রতি আমার ভালোবাসা_
প্রতি সেকেন্ডের
প্রতি মিনিটের
প্রতি ঘন্টার
প্রতি দিনের
প্রতি মাসের
প্রতি বছরের
প্রতি যুগের
প্রতি শতাব্দীর !
তোর প্রতি আমার প্রেম ?
অনন্তকালের !!
হ্যাঁ_
আমি আমার অনুভূতি থেকে বলছি,
আমি আমার বিবেক থেকে বলছি,
আমি আমার সত্তা থেকে বলছি,
আমি আমার আত্মা থেকে বলছি,
তোর প্রতি আমার নিগুঢ় প্রেম যুগযুগান্তর ব্যাপি সর্বদা অদৃশ্যে বাতাসের মতো’ই বহমান !!
তোর প্রতি আমার ভালোবাসা_
সাগর বা মহাসাগরীয় জলের ঢেউয়ের মতোই উত্তাল অথচ দৃষ্টিনন্দন !!
তোর প্রতি আমার ভালোবাসা_
নীরবে নিভৃতে কুলকুল রবে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি ঝর্ণার মতোই বর্ণালী রূপে মনোমুগ্ধকর ও শ্রুতিমধুর !!
তোর প্রতি আমার ভালোবাসা ?
বেহেস্তী হুর’দের মতোই চির’যৌবনা !!
আমি তোর ওই জলে ভাসা পদ্মলোচন পল্লবে দৃষ্টি রেখে,
আমার জলছবি যতই দেখি,
দেখার তৃষ্ণা ক্রমবর্ধমান !
আমি তোর প্রেমময় নরম হৃদয়ে হৃদয় রেখে আমার ভালোবাসার রাগিণীর সু’মধুর সুর যতই শুনি,
শোনার অতৃপ্তি রয়ে যায় !!
আমার শ্বাসে তোর শরীরের সুবাসিত হরিণ কস্তুরীর ঘ্রাণ বুক ভরে নিয়ে অনন্তকাল বাঁচার স্বপ্ন দেখি !!
আমার প্রশ্বাসে প্রগাঢ় ভালোবাসার আবির ছড়িয়ে একমাত্র তোকে’ই নিরন্তর ভালোবাসি ও ভালোবাসি !!
নয়তো প্রতিনিয়ত আমি মরার আগেই বারংবার আমার জীবন্ত সমাধি রচনা করি !!
অতএব,
তোকে অনন্ত প্রেমে ভালোবেসে বাঁচা যায় অনন্তকাল !
তোকে বুকের পাঁজরে রেখে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হওয়া যায় অবিরাম !
তোর সু’শীতল বুকে মাথা রেখে মরণ’কে জয় করা যায়_
শতবার,
হাজারবার,
লক্ষধিক বার,
এমনকি বিরাম হীন !!
যদি এক সেকেন্ড’ও এই পৃথিবীতে বাঁচি তোর কোলে মাথা রেখে’ই আমি বাঁচতে চাই,
তোকে বিশুদ্ধতায় ভালোবেসে’ই আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস_
তোর কাছে,
তোর বুকের মাঝে ত্যাগ করে মরতে চাই,
ও
অস্পষ্ট কম্পিত কণ্ঠে বলে যেতে চাই
“কবিতা”
আমি শুধুমাত্র তোকে’ই ভালোবাসি !!
তাই তোর প্রতি আমার “চির বাসন্তী প্রেম” ও ভালোবাসা_
অনন্তকালের,
অনন্ত যুগের,
এমনকি মরনের পরেরও রে “পাগলী” !!
নীল – কবি।