বিশ্বজুড়ে জবর দখলের চলছে তো চূড়ান্ত মহড়া
তারই জের ধরে মিয়ানমার আরাকানীরা আজ দেশ ছাড়া।
সন্ত্রাসী ভন্ড বর্মী বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সন্ন্যাসীর আদলে
রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করে মানচিত্র দিয়েছে বদলে।
পিতৃভূমি হতে বিতাড়িত কৃষি চাকরি ব্যবসা হারা
বর্মী সামরিক জান্তার নির্মম অত্যাচারে দিশেহারা।
গ্রামের পর গ্রামসহ বিশাল জনপদ পুরুষ শূন্য করে
পুরুষ হত্যা আর যুবতীদেরকে পাশবিক অত্যাচারে
ধর্ষণ লুন্ঠন হত্যাযজ্ঞ চালায় আরাকানীদের উপরে।
অগ্নি কাণ্ডে পুড়িয়ে মারে নিরীহ সব মুসলমান কে
ধুলিস্যাৎ করে দেয় মানবতার ন্যূনতম অবস্থান কে
শিশুদের দু পা ধরে দুদিকে দেয় যে টেনে ছিড়ে ফেলে
পুরুষদেরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে একত্রে দেয় পেট্রোল ঢেলে।
যারা মরেছে তারা ছাড়া বাকিরা অন্ধকারে দেশ ছাড়ে
কেউবা নৌকা ও ট্রলার যোগে ভাসে নদী কিংবা সাগরে।
কোনমতে পৌঁছে প্রতিবেশী দেশগুলোর আশ্রয় শিবিরে
পেছনে ফেলে আসে স্ত্রীকন্যা স্বামী সন্তান পিতা-মাতারে।
বিশ্ব কুচক্রী মহল ফিলিস্তিনে পাঠায় ইহুদি বংশ কে
জবর দখল করে ইসলাম ও মুসলিম তীর্থস্থান কে।
বেথেলহাম জেরুজালেম আর গাজাও সিনাই উপত্যকা
গোলান হাইটস রামাল্লাহ সহ আরো ব্যাপক এলাকা।
এ রুপ জোর জুলুম জবর দখলের স্পষ্ট চূড়ান্ত মহড়া
চালিয়ে যেতে বিশ্বশক্তি দেয় যে তাদের নোংরা আস্কারা।
বিশাল যুদ্ধ বাঁধে ইসরাইল বনাম আরব মুসলমান
মুসলমানদের বাস্তুহীন করে ইহুদিদের ঘটে উত্থান।
বিষফোঁড়া ইজরাইলিরা অস্ত্রশস্ত্রে হয় আরো সজ্জিত
অত্যাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রসহ বিবেক বর্জিত।
আন্তর্জাতিক মহলের নির্লজ্জ প্রকাশ্য সহযোগিতা
ঘৃণ্য ইহুদিরা প্রতিষ্ঠা করে ইজরাইলি রাষ্ট্রক্ষমতা।
সেই হতে ইসলামের চির শত্রু ইয়াহুদী চালায় শত্রুতা।
দিন মাস বছর যুগের পর যুগ পেরিয়ে ও রাষ্ট্র সম্প্রসারণ
পিতৃভূমি হতে ফিলিস্তিনিদের ক্রমান্বয়ে করে বিতাড়ণ।
মুহুর্মুহু নির্মম স্ট্রিম রোলার চালাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের উপর
স্বীকৃত স্বেচ্ছাচারী ইহুদিরা হয়ে উঠে আরো বর্বর।
অবশেষে তো বাইতুল মুকাদ্দাসে জুমাতুল বিদার দিনে
সেজদারত মুসল্লিদের উপর মাতে জঘন্যতম নির্যাতনে।
ইয়াসির আরাফাত ঘোষিত রাজধানী শহর রামাল্লায়
ইতিহাসের বর্বরোচিত জঘন্যতম নৃশংস হামলা চালায়।
লাশের পর লাশ আর কত গুলিবিদ্ধ নির্যাতনে আহত
বিশ্ববিবেকের বাধা ছাড়াই সেসব রয়েছে তো অব্যাহত।
কোথায় ওদের মানবাধিকার আর আন্তর্জাতিক আদালত
তিলে তিলে ফিলিস্তিনিরা নিঃস্ব হচ্ছে, ঘৃন্য আলামত।
কাশ্মীর ও তো দাও দাও করে জ্বলছে নির্যাতিত জনমানুষ।
মানবাধিকার হীন জুলমাতে মিডিয়ায় তা বহুল চাক্ষুষ।
চীনের জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমরা আজ গৃহবন্দী
বিশ্ববাসীর অগোচরে চীন এঁটেছে যে প্রাচীরের ফন্দি।
এতো কিছু দেখেও বিশ্ব বিবেক কুলুপ এঁটে আছে মুখে
মুসলমান, কারো সহানুভূতি নয়, নিজেরা উঠো রুখে।
সরদার মুক্তার আলী – কবি ও মডারেটর চেতনায় সাহিত্য।