সাতসকালেই বললো খুড়ি,
“শুনল্যা পুঁটির বাবা,
কয়ডা বাজে হুঁশ আছে তা ?
কখন বাজার যাবা?
আর কতক্ষণ ঘুমাবা গো ?
এইবারে তো ওডো,
মাছ মাংস কী পাবানে আর?
উডে শিগগির ছোডো।
পাঁচ রোকমের মিষ্টি আনবা
সঙ্গে দই আম লিচু,
ইলিশ পাঁঠার মাংস এবং
গলদা চিংড়ি কিছু।”
রোজকার মতন খুড়ি ভীষণ
করলো তাড়াহুড়ো,
খুড়ির ঠেলায় উঠলো শেষে
‘কুম্ভকর্ণ’ খুড়ো!
“আনবা সবই” বললো খুড়ি
থলে গুঁজে হাতে,
খুড়ির বচন শুনেই খুড়োর
বজ্র পড়ে মাথে!
“অ্যাত্তো কিছু!কী কারণে ?”
বললো ভয়ে খুড়ো,
“মাইয়া জামাই আছে সেডা
ভুইল্যা গ্যালা বুড়ো ?”
“তুমিও কী ভুইল্যা গ্যাছো
চোলছে মহামারী ?
মারবোও না মোরবোও না
জামাই ডাইক্যা বাড়ি!”
ষষ্ঠীতে আসবে না জামাই!
হৃদয় পাথর শোকে,
খুড়োর কথায় খুড়ির যেন
আগুন ঝরে চোখে!
“সময়ডা তো ভালা না গো
বুঝল্যা পুঁটির মাতা,
আনাগোনায় বাড়বে ভীতি
ঠাণ্ডা করো মাথা।
অনলাইনে অর্ডার কইর্যা
পাডামু সব বাড়ি,”
দুগ্ধের স্বাদ মিটল ঘোলে
শান্ত হলো নারী!
বিষ্ণুপদ বিশ্বাস- বর্ধমান, ভারত।