শৈশব থেকে কৈশোর গেলো অবুঝ কান্নার ছলে
কোন কিছুর দেখা পেলে হাসতাম মুক্ত বিহঙ্গে।
কৈশোর থেকে সাবালক যখন হলাম আপন যত্নে,
নিজকেও তখন বুঝতে লাগলাম নিজের স্বাধীন স্বার্থে।
স্বাধীন যখন, ভাবলাম আমি দায়িত্ব এলো কাঁধে
হ্রদ রক্তাক্ত তখন যেন পর হতে শুরু করে।
তখন থেকেই আপন স্বজন বললো যাও মাঠে
কর্ম করে এবার ধরো সংসারটা কে টেনে।
ভাবনার মগজ তখন আমার ভাবতে শুরু করে
লেখাপড়া ছাড়া জীবন সাজাই কি করে!
মনের কথা মনের ভিতর পিষিয়ে মারি তখন
কর্ম করে হাসাই তখন প্রিয় আপনজন।
সাবালক থেকে এখন যখন বড় কিছু ভাবি
মন বলে এখন তবে খুঁজে নে’ নতুন সঙ্গী।
মনের কথায় যখন আমি আনলাম জীবন সঙ্গী
আপন হতে দূরে এখন থাকি সব ভুলি।
সুখে-দুঃখে সহধর্মিণী আমার পাশেই থাকে
এই জীবন এখন কেন, পরের কথা ব’লে?
যখন আবার হৃৎপিণ্ড হতে আশে নয়নমণি
আপন করে মন ভাবে না পুরানো কোন স্মৃতি।
হঠাৎ আবার মধ্য বয়সে যখন পাইনা শক্তি
ভারসাম্যহীন দেহমন ব’লে কার জন্য কি রাখলি,
শত চেষ্টা করেও তখন পাই না তার গতি
জীবন কেঁদে ব’লে তখন বাঁচবো না আর আমি।
এতো সুন্দর ধরণীর বুকে থাকলাম কত কাল,
কতো আপন, কতো পর নদীর পানির মতন।
স্রোতের সাথে হারিয়ে গেছে আমার সময় বেলা
শেষ বয়সে এখন দেখি সবই আমার বৃথা।
এম, এ,হালিম শিশির – কবি।