সে – ১
সে ছিল একটা বিষণ্ন দিনের এক টুকরো প্রশান্তির মতো
অবিন্যস্ত আমায় সুখের অনুভবে মুড়িয়ে নেয়ার
কী ভীষণ পারগতা ছিলো তার।
কুয়াশা ভেজা শীত সকালগুলো কী ভীষণ ধোয়াঁটে স্হির!!
এক টুকরো ঝলমলে রোদ্দুরের আশায়
প্রকৃতি আর চারপাশের জনজীবন।
সে ও এসেছিলো জীবনের বিষাদ
কাটাতে এক মুঠো স্বস্তির হাওয়া নিয়ে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল গড়িয়ে যেতো কখনো
গোধূলির কনে দেখা আলোর রক্তিমতা
ছুঁয়ে যেত সিল্কি চুলের গোছা
সেই অদ্ভুত আলো আঁধারির ক্ষণে
সে আসতো বাজাতে সুখের বাঁশি এই মনে।
সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে নেমে আসতো
বিষাদময় ক্নান্ত দীর্ঘ রাত।
বুকের একান্ত অন্তপুরে লুকিয়ে রাখা কষ্টগুলো
নিঃসংগতার প্রহরগুলো
ঝাঁপি খুলে অপেক্ষা করত তার জন্য,
নির্ঘুম রাতের সারথি হবে বলে।
একদিন,
একটা কষ্ট নদী সাঁতরিয়ে
সে এলো আমায় তার সাথে ভাসিয়ে নিতে
সুখের জোয়ারে।
ভেসে ভেসে
একটা শান্ত স্নিগ্ধ সুখ স্বপ্নের স্পর্শ পেল সে।
সেই স্বপ্নের সবটা জুড়ে ছিল এক মুঠো শ্বেত শুভ্র মেঘ
আর মনে ছিল কী ভীষণ গাঢ় নীল মায়া।
ওই মেঘের মায়ায় আধফোটা স্বপ্নটা উঁকি দিলো
ঘন সবুজে পেলবিত হয়ে উঠল স্বপ্নের শাখা প্রশাখা
একটা মায়াবী সুখের মেঘ বৃষ্টির রিমঝিম বারিধারা হয়ে
স্বপ্নটা করে তুললো চির সবুজ আর শীতল
সেই থেকে,
বদলে গেলো দুঃসহ একাকীত্বের যন্ত্রণা
এখন আমার সারাটাক্ষন কাটে তাকে জড়িয়ে
সুখের মায়ায়,
ঘুঘু ডাকা নিঃসংগ দুপুরে
সে থাকে আমার সাথে
জড়িয়ে তার বুকের ওমে
আমি একটা সবুজ পাখি হয়ে
ডানা মেলে উড়ে বেড়াই তার মনের আকাশে।
নিকোটিনকে না বলো – ২
নেশা কি শুধু নিকোটিনেই থাকে!
আমার চোখের নীলে জেকে দেখো
তোমায় ভালোবাসার যে ভীষণ তীব্রতা আছে
তা যেকোনো নেশাকেই হার মানাবে।
আমার ঠোঁটে আলতো করে রাখো ঐ ঠোঁট
নেশায় উন্মাতাল তুমি হবেই।
জানি নিকোটিন তোমার বহু বছরের প্রেম।
আর হ্যাঁ তোমার প্রথম প্রেম।
একদিন এই নিকোটিন ছাড়ার কথায় অভিমানী
কন্ঠে মৃদু হেসে উত্তর জানালে
ও তো তোমার মতো ই বিশ্বস্ত আর নিশ্চুপ
আমার সাথে থাকে প্রতিটি আনন্দ আর কষ্টে!
তবু কেন বলোতো, তোমার এই নিকোটিন আমারেই
বেশি পোড়ায়
আমি দগ্ধ হতে থাকি তোমার প্রতিটি নিকোটিনের টানে
তাইতো আবদার করি নিকোটিন কে না বলো
হাতটা ধরেই পথটা চলো।
তাওয়াব নূর- কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক।