বলতেন মা!
আমি নাকি সুলক্ষণা একেবারেই কার্তিকের ন্যায় দেখতে।
আমার চেহারায় চোখে ফোঁটে উঠে অবিকল স্বরসতীর আভা
আমি নাকি অর্ধেকটাই জুড়ে আছি তার বৈশিষ্ট নিয়ে।।
কখনো কখনো দৈব বিস্তার করে আমার অবয়বে—
আমি নাকি মহা আর্শিবাদ প্রাপ্তি!!
আমার মাঝে নাকি অনেক কিছুই লুকানো আছে?
একান্তে ধ্যান আমার নাকি দৈবতে প্রভাব”
“চঞ্চলা দুরন্ত অন্তরিকে আমার পথ—
মোড় নিবে শান্ত ধীর গাম্ভির্য্য__
আমার মন্ডলে শোভা চিহৃ অন্যের সেবায়।
আমার ধারায় মনূষ্যের ফারা কাটা হয়
আমার ছায়ায় প্রভাব ফেলে দেবী মাতাদের!
আমার আগমনে– সমগ্র ভূমন্ড দৈব সংকেত এ মুখোরীত ধ্বনি।।
প্রায় চিন্তিত মা। এ সাধারণ নয়?
এ কার ছায়ায় আবির্ভাব?
আমার কোল জুড়ে,,,
আমার চোখে নাকি গভীর ইঙ্গিত!
শনির দশা রাহুর দশা কাটাতে– অনিষ্টের ধ্বংশ আমার জ্যোতিতে রপ্ত।।
ঘুমহীন মায়ের চোখ।
দুঃশ্চিন্তা বিরাজমান মায়ের মন—আমার অসাধ্য দৈব শক্তির ভয়।
সদা আমি হাসি খুশি রই
দৌড়ঝাপ, হই হুল্লোড়— মন্দির মাঠ
একশো বছরের পুরানা “জমিদার কৃর্তি নারায়ণের শান বাঁধানো পুকুর ঘাট
আমার নাকি জলে টানে–
সুধারাম ঘোষ দাদু যখন দুধ জল এক করতে বালতি জলে ডুবাতেন__
ঘাটের শ্যাওলা ভেজা জলের তিন সিঁড়িতে– আমি আর গোপা বসে মাছদের সাথে কথা কইতাম।
ঘোষ দাদু চুপিচুপি
তিন কেজি দুধে এক কেজি জল মেশাতেন।
আমি হেসে উঠলে দাদু বলতেন বলিসনে যেন
“স্বর— মা।
আমি তোকে হাট থেকে দেবতার মূর্তি এনে দেবো নাড়ু দিবো।
তুই,, ঐ বেলা বেনজীর বাগানে যাস্ “স্বরসতী।
আমার ভিতরে আমি বড় হলাম!
পরদিন দাদু জল মেশানো দুধ সহ হাতে নাতে খেলো ধরা।।
আমি তো কাউকে বলিনি? আর গোপা সে তো কথাই বলতে জানেনা গোপা প্রতিবন্ধি!
জানেন তো “অন্তর্যামী!!
তবে আমার মধ্যে কে আমি?
আমাকে নিয়ে পেরেশান মায়ের বুক
মায়ের মন।
দুঃখ কি এমনিতেই ঘুচে—
লুকায় আর কোথায় আমারে,,,,
আমি সারা বিশ্বময়ী—দৈব পাওয়া!
আজ পূর্ণিমা রাত।
অমাবষ্যার কালো বিষুব রেখা কেটে গেছে
আমিও পূর্ণশশী পূর্ণচাঁদ!
আমি স্বরসতী দেবী!
এখন আমার সমস্ত শরীর জুড়ে দৈবের চিহৃ
আমি এখন নিজেই নিশ্চুপ।
রাসভারী
একেকটা অনিশ্চিত তাঁড়িয়ে সবার দুঃখ সরাই দুরে—
আমি জানি
আমার হাতে সৃষ্টিকর্তা তোলে দিয়েছেন শক্তির খঞ্জর জ্যোতি
আর দিয়েছেন অসীম বর”
কেবল___
আমি পাইনি আমার নিজের খবর!
মিতা – কবি ও সাহিত্যিক।