আমি এক বিবর্ণ গোলাপ
গভীর অরণ্যের এক ডানা ছাঁটা পাখি
অন্ধ কুঠিরে প্রেম বিলিয়ে
অন্ধকারেই কুঁকড়ে মরি।
আমার শরীরজুড়ে মধুমক্ষিকার হুল
মেকি হাসি তবু লেগে থাকে ঠোঁটে
অনাদরে পড়ে থাকে ভোগে লাগা আমার ক্লান্ত দেহ;
মন গুমরে মরে ভালোবাসার উপবাসে।
কামনার গরম শ্বাসে-নিশ্বাসে একাকার
আমার শরীরের সমস্ত কাঁচা মাংস
ছুঁয়ে যায় শরীরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত,
এমন চাওয়া আমার তো ছিলো না!
নামহীন হয়েই জন্ম আমার
মনের অন্তঃপুরে ভালোবাসা বলতে
জানলার ফাঁকে যতটুকু আকাশ দেখা যায় ততটুকুই
আর ইচ্ছে করেই ঘৃণার অন্দরমহলে লুকিয়ে রেখেছি চাঁদ।
আমার ছিলো না তো এমন চাওয়া,
চকচকে নোট নামক কাগজের বিনিময়ে
নিশুতির প্রহরে তোমাদের কামনার নিক্ষেপ করা বাণে
আমি বলি হবো মুহূর্তে মুহুর্তে।
আলো ঝলমলে মহলের অন্দরেই
আমি জন্মেছিলাম নামহীন, গোত্রহীন হয়ে;
একটা নাম দেয়নি কেউ আমায়,
ধরেনি কখনো ভালোবেসে আগলে
শুধু ইচ্ছে মতো শকুনের দল খেয়েছে আমায় খুবলে।
হাজার হাজার অমানুষের ভীড়ে
আজ-ও আমি খুঁজে ফিরি নিজের একটা নাম!
খুঁজি ধর্ম,গোত্র,পরিচয়
যা চাপা পড়ে আছে তোমাদের লালসার অতৃপ্ত ভোগে।
এমনটা তো চাইনি আমি হতে
এমনটা আমি চাইনি।
শিউলী – কবি ও সাহিত্যিক।