মনে কর অনেক বছর পরে—–
ফিনিক্স পাখীর মতো, পুনঃজন্ম হলে
হিম হিম একশীতের সকালে!
যখন কুয়াশায় মোড়া পৃথিবী,সূর্য কেবলই আড়মোড়া ভাঙছে পুব আকাশে—-
পুনঃজন্মে ফিরে এলাম আমি,কার্তিকের শিশির জড়িয়ে পায়ে,
কীর্তনখোলার তীর ঘেষে, পাখ-পাখালি ডাকা
এক সবুজ গ্রামে!
চিনবে কি আমায়!
তোমার উঠোন জুড়ে যেনো কামিনীর সুবাস, শরীরে মেখে আমি পেতেছি যে মায়াজাল!
উঁকি দেয় সবে কুয়াশা সরিয়ে আলোকিত এক রাঙা সকাল!
হয়তো ভাববে আজ এতো মনকাড়া রঙ কেনো চারিদিকে!
আনন্দের সুর বাজে অহেতুক,টুপটাপ শিশিরের শব্দের ফাঁকে।
ঐ যে সজনে গাছটির ফাঁকে একমুঠো রোদ্দুর
মেঠো পথটির পাশে নুয়ে পড়া ঠোলকলমির ফুল
মাঁচায় তুলে দেয়া টিয়া সবুজ রঙের লাউয়ের ডগা
ওখানেই আমি দাড়িয়ে আছি নিশ্চুপ,যেনো মৃত পাথর!
অথচ চোখেই পড়েনা তোমার!
কত দীর্ঘ সময় ছিলেম কাছাকাছি,
আনন্দে সময় করেছি পার!
ভুলে কি গেছো তবে!
রাধাচূড়া ফুল যে খোপায় পড়াতে রোজ বিকেলে!
একমুঠো নীল চুড়ি আর পায়ের নুপুর,দূরের হাটে গেলে নিত্যই যে আনতে আমার তরে।
ভুলে গেছো সব দুদিনের অগোচরে!
হঠাৎই বললে তুমি নতুন সাথীকে তোমার, “দেখো নীলকণ্ঠ পাখী বসেছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে!”
হায়! তাহলে কি পুনঃজন্ম আমার,
“মানুষ নয় শঙ্খচিল, শালিকের বেশে!”
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি ও সাহিত্যিক।