তুমি ভালোবাসি বললেই আমার উঠোনে,
অনুরাগের ঝুম বৃষ্টির নাইওরি।
বুকের চিলেকোঠায় সরোদ সঙ্গীতের রাগ প্রশান্তি।
সূর্যের রঙে বসন্ত জেঁকে বসে,
মেঘের খামে উড়তে থাকে নীলাদ্রি প্রণয়।
তুমি ভালোবাসি বললেই,
এক নিমিষে আমিটা হয়ে যাই তুমি।
তুমি ছুঁয়ে দিলেই ঘাসফড়িং এর উড়াউড়ি,
বাতাসের গায়ে জোছনার খুশবু।
আমাকে জাপ্টে ধরে জান্নাতুল ফেরদৌসের খোয়াব।
আমলনামায় ভেসে উঠে তোমার দোয়ার দরখাস্ত,
চোখের বারান্দায় লাফিয়ে পড়ে জাফরানি আকাশ।
তুমি ছুঁয়ে দিলেই,
আমি এক খণ্ড নায়াগ্রার উচ্ছ্বাস;
সুবহে সাদিকের সুমধুর তিলাওয়াত আর তরজমা।
আমার প্রার্থনার তসবিহ দানায় তোমার নাম।
তুমি নাম ধরে ডাকলেই হুড়মুড় করে মনের চৌকাঠে ভোর,
পরিযায়ী পাখির ঠোঁট থেকে খসে পড়ে,
পরীস্থানের নিমন্ত্রণ পত্র।
আমার চারপাশে শুরু হয়ে যায়,
মনভালোদের ঈদ উল ফিতর।
তুমি নাম ধরে ডাকলেই,
আমার পদবীতে যুক্ত হয় প্রণয়ের মহাকাল।
বিশ্বাসের নাম হয়ে যাও তুমি।
তুমি কাছে আসলেই ঠোঁটের নকশায় ময়ূর নৃত্য,
নাকের পাশ ঘেঁষে হেঁটে যায়;
স্বর্গীয় প্রেমাসূত্রের প্রীতি উৎসব।
চোখের শীতলক্ষ্যায় মায়াবী জলস্রোত।
চুলের সিথানে টুপ টাপ টাপুর করে আছড়ে পড়ে,
তোমার আঙুল স্পর্শে সেতারের রাগ রসিয়া।
আফিম নেশায় গড়াগড়ি খায়,
আমাদের পবিত্র ভালোবাসার সাতকাহন।
মুহূর্তেই আমি খুইয়ে ফেলি,
আমার চৈতন্য চেতনের বিস্ময়কর সব সিল্কী কেমিস্ট্রি।
সমর্পিত হই তুমি নামের,
পৃথিবীর একমাত্র প্রেমময় বায়ুমণ্ডলে।
নাজনীন নাহার – কবি ও সাহিত্যিক।