তোমার চকচকে মনটা যখন ঘোলাটে হয়ে গেলো—
শীতল চোখের চাহনি তখন প্রেম তো দূরের কথা
করুণা জাগাতে ও ব্যর্থ হলো।
আমি যাচ্ছি না, আমি ফিরছি আপন কুলায়!
আমার পৃথিবী অনেক বড়—
সেখানে পাখির নীড় আছে, ফুলের বাগান;
বাগানের ফুলের মধুতে ঠাসা মৌচাক আছে।
আছে শুকনো খড়কুটো ঠান্ডা লাগলে জ্বালিয়ে উষ্ণ হবো।
বেদনার অশ্রু ঝরিয়ে প্রতীক্ষারত
উদার পাহাড়ের গায়ে কলকলিয়ে নামছে ঝর্ণা—
সেই অতল স্ফটিক জলে ধুয়ে, নেয়ে
নিমেষে পূতপবিত্র হবে স্খলনের পাপ!
বিগত ভুলানো ভুল সময়, তাচ্ছিল্য ও অবহেলার সময়,
অন্যফুলে উড়ে বেড়ানো অপমানও অসম্মানের সময়,
কষ্ট ও অবজ্ঞার সময় আর কিছু অন্তর্গত ক্ষত চিহ্ন;
কাগজ-কলম অভিজ্ঞতার ঝুড়ি সব নিয়ে যাচ্ছি।
তোমার জন্য তেমন কিছুই রেখে গেলাম না; একটা অনুভব ছাড়া।
এই অবসরে আর একটা জিনিস তুমি পেতেই পারো…
একটা সস্তা, শুকনো ধন্যবাদ।
তোমার সাথে দেখা না হলে আমার জীবনচরিত বড়ই বৈচিত্রহীন একঘেয়ে হতো।
নতুন সোনালুর ফুলে মালা গেঁথো, সুভাশিষ রেখে গেলাম!
রুচি বদলের যা ধাত—
ক’দিন ভালো থাকবে, কতটা… সে ভবিতব্যই জানে!
তবে, তুমি নিশ্চিত জেনো— আমি ভালো থাকবো।
কুলসুম আক্তার সুমী- কবি ও সাহিত্যিক।