ইশকুলে আসেনি সে, আমিও যাইনি গোচারণে
শুধু তার বাঁশির ছোবলে কূলহারা দু’ডানা মেলেছি
বসেছি মোষের শিঙে, ফিঙে দোয়েল ভাদাহরা
বাবুইয়ের ঘরে বসে কত রাত আকাশ ছুঁয়েছি
সে অলীক লিপির সুরভি জানে ক্লান্ত ধূসর ডায়েরি!
বালকের গুলতিতে কাঁখের কলসি ফুটো হলে
হলুদিয়া বধূটির রাগরাঙা চোখের ভ্রূকুটি দেখে খুব হেসে কুটিকুটি
কোচরে গুলতি ভরে দস্যি রাখাল ছিল পাতার আড়ালে।
কত শত পাখির বাসায় সেঁধে দাওয়াত নিয়েছি
ছানাদের অসহিষ্ণু হায়ের ভিতর এক দুটো শুঁয়ো পোকা
ভরে দিয়ে টুপ করে পালিয়ে এসেছি, অনুযোগ করেছে মা-পাখি। অলিরা কচাল করে
কান ভারি করেছে ফুলের। তুমি ছিলে তবু বেখবর।
ঢেউ তোলা কত নদী, কত মগ্ন জলের হাওর
কাঁধে ভর করে হেঁটে গেছে
মুখর বসার ঘরে ছলাৎ জলের মীড়ে ঐকতান তুলে
কত কেউ চা-টা খেয়ে টাটা বলে গেছে!
সবারই একটা করে জোড়কলম কেটে,
পেছনের বাগানে পুঁতেছি।
নদীগাছ খরস্রোতা গাছনদী হলে, গুণ টেনে
গিয়েছি উজানে
মন দেয়া নেয়াগুলো কী যে বেহিসেবী ছিল আহা!
জানে না রাখাল সখা, নিদারুণ তার পোড়া বাঁশি!
মুজতাহিদ ফারুকী – কবি,সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।