অতিক্রান্ত সময়টা বড্ড এলেবেলে!
স্থবিরতা যেন চারপাশ জুড়ে।
দূরে এই শেষ বসন্তেও কুহুকুহু সুরের কুহুতানে
মগ্ন কোকিল!
ঘন সবুজ জমিনে ঘাসফড়িং আর ধূসর ছোট্ট পাখিটার অবাধ ওড়াউড়ি!
শুধু মানুষরূপী আমরা খাঁচায় বন্দী!
কি অদ্ভুত প্রতিশোধ প্রকৃতির!
পাপের প্রায়শ্চিত্ত তো করতেই হবে —–
আকন্ঠ ডুবে গিয়েও পাপের সমুদ্রে
আজো চাহনির কদর্যতা দিয়ে পাপিষ্ঠদের
অযুত ক্লেদাক্ত পাপ ঝরে!
অতঃপর আরোপিত হলো মানুষের ললাটে শাস্তির মারণাস্ত্র!
খাঁচায় বন্দী মানুষগুলো কেবলই দেখে
প্রকৃতিতে ছড়ানো স্বাধীনতার আলোকশিখা!
ছুঁয়ে যায় অপার্থিব সুখের অরুণিমা
ঘাস,ফুল,পাখী আর সবুজ অরণ্যের ছায়া!
আর আমরা মানুষেরা!
নৈঃশব্দ্যের আঁধারে করাঘাত শুনি অষ্টপ্রহর
ঠক ঠক ঠক!!
কে কড়া নাড়ে সদর দরোজায়!
আতংকে শিউরে উঠি!
ভয়ের শীতল জলে শরীর ভিজে যায়
এবার কি তবে ফিরে যেতে হবে!
ভুলে যাই কি নির্বুদ্ধিতায় কখনো পাপ-পূন্যের সীমারেখা টানিনি
ভুলে যাই ফিরে যাবার আহবানকে সত্য বলেই তো মানি!
অতঃপর প্রকৃতির দায়ের করা অভিযোগে
নতজানু হই মহান প্রভুর কাছে,
তবে কি ডাক এসেছে এবার ফিরে যাবার আহবানে?
হাছিনা মমতাজ ডলি- কবি।