বিজয় পতাকা শহীদের রক্তে গেছে ভেসে
আজও তা উড়ছে দেখো পুবালি বাতাসে।
একাত্তরের বিভীষিকার আগুনের মাঝে,
শহীদের প্রাণেতে উঠেছিল বাঁশি বেজে।
আজও ভুলি নাই তাদের রক্তদানের পুণ্য,
প্রাণের বদলে প্রাপ্তির ঝুলিটা থাকেনি শূন্য।
হয়েছিল তারা সেদিন আত্মত্যাগী-মৃত্যুঞ্জয়ী,
হয়নি বৃথা প্রাণদান তাই আজ মোরা বিজয়ী।
শহীদ মিনারে এসে চোখ ফেটে আসে জল,
হত্যা করেছিল তাদের নির্বিচারে ঘাতকের দল।
বিজয় দিবসে আজ স্মরি তাদের ক্ষণে ক্ষণে,
তাদের কথাই লেখা প্রতি বাঙালীর মনে মনে।
ষোলই ডিসেম্বর মোরা বিজয় দিবসের প্রাক্কালে,
সকলে মিলে শামিল হই শহীদ মিনারের কোলে।
একে একে স্মরণ করি সকল বীর সন্তানেরে,
অশ্রু-মোচনে বারিধারা বয়ে যায় শুধু অঝোরে।
বিজয়ের পতাকা ওড়াতে যাদের ক্ষত হলো অঙ্গ,
শরীর হারিয়ে হলো আজ তারা কেবল বিকলাঙ্গ।
ভুলিব মোরা কেমনে বলো তাদের এই জীবনে,
বিজয়ের ফল উৎসর্গ করি আজ তাদের সনে।
বিজয় তবে একদিনে আসেনি স্মরণে রেখো সবে
নয় মাসাধিক লড়াই শেষে বিজয় এসেছে এ ভবে।
কত অশ্রু ঝরেছে রক্তে ভেসে গেছে এ পবিত্র ভূমি,
হৃদয়ের দ্বার খুলে দেখো সম্যক তা জানবে তুমি।
বিজয় দিবস বছর বছর এই দিনে আসে ঘুরে ঘুরে,
বিজয় উৎসব ছড়িয়ে পড়ে সব বাঙালীর ঘরে ঘরে।
বিজয়-পতাকা উড়ুক এভাবে কাল থেকে কালান্তর,
সব বাঙালীর বুকেই বাজুক বিজয়ের সুর নিরন্তর।
সুদীপ ধাড়া _ কবি,লেখক ও সাহিত্যিক