কলিজা কাইট্টা বন্দু দেই নাই খালপাড়ো পুঁডি মাছ ভাগা
ত্যালকালা বাবড়ির বাস্না নিছি দমে দমে আউলা বাতাসে
নরম ফুলের দিলে তা-ও দিলা কী বিষম বিচ্ছেদের দাগা!
হায় রে নিঠুর সখা পিছ থনে ছুরি মারো মাসুম বিশ্বাসে!
কুন্ জনমের পাপে কেডা জানে জন্ম নিছি এমুন অভাগা।
পিরিতে মজিছিতরি জানে মরি, আটকিসি জল্লাদের ফাঁসে!
কিয়ের লালচে নাছো, কুন্ টানে উচাটন নিত্য রাইত জাগা
চাই না হুনবার কিছু, উঠামু না আইনের সালিশ এজলাসে
নূতন ফুলের মধু, ও ভমর, যুদি মুন কয় হবো সুনায় সুহাগা
পাষাণে বান্দিছি মুন, ফিরামু না, যাও ফির মথুরা বিলাসে
পুষ্কুনিত্ পানি নাই, ফুঁ দিলে কি নিভে কও ঘরে আগ নাগা?
ক্যান বা দিছিলা মুন, নাকফুল, ক্যান ফির নজর ঘুরাও
অবলা খাঁচার পইক ছটফট করে খালি রাত্র দুইফরে
যি সুরে পরান নিছো, কি দুষে এহন তারে আঁসুতে বাহাও?
বিষের বাঁশরি য্যান্ কাল ফণী, গিলে চান বেহুলা বাসরে।
ই কুফা অপয়া যেনি চায়, হায় হায়, দরিয়া হুগায়া যায়
বিরিক্ষের পাতা ঝরে, জ্বলে ধান গনগনা বিকট খরায়।
মুজতাহিদ ফারুকী- কবি, সাহিত্যিকও কলামিস্ট।