কখনও চাঁদের আলোয়,
কখনও বা রৌদ্রতপ্ত প্রখর দুপুরে,
কখনও বৃষ্টি ধারায় স্নানে মগ্ন,
আমি সেই কপোত-কপোতীর গল্পই
শুনতে চাই,
কিংবা শোনাতে চাই।
বাতাসে কান পাতো,
হৃদয়ে অনুভব করো,
মনের চোখ মেলে দেখো,
সেই কৈশোরে, প্রথম ছোঁয়ার
অনুভূতি জুঁড়ে সে শুধু ছিল নয়,
এই অবেলায়,অভিমানের প্রহরেও
সে আছে,সে যে থেকে যায়।
ঘুমহীন কোন স্বপ্নবিহীন রাতে,
কপালের নীল শিরায় যন্ত্রনার মত,
ব্যলকনিতে অস্থির নিঃশ্বাস নেবার চেষ্টায়
সে ফিরে আসে, কখনও স্মৃতিতে,
কখনও বা মন পুড়ানো কামনায়।
আধেক আবেগে কিংবা আধেক অনুরাগে,
আধেক তার ভালোবাসায়,আধেক তার তৃষ্ণায়,
পূর্ণতা খোঁজে,
বালিকার প্রথম আঁকা কাজল চোখের পবিত্র অশ্রুতে।
দেখো, ফাগুন ফিরে আসে,
বসন্ত বাতাস দাঁড়ায় দুয়ারে,
বাসন্তী বসনে,চুলের খোঁপায় কৃষ্ণচূড়া গুঁজে,
তাহার সাথে আর একটি বার,
সকল অভিযোগ ভুলে,
শুধু আর একটি বার,
প্রথম থেকে শুরু করতে চাই।
সেই যে,
রাত জেগে চিঠি লেখা, সেলফোনে কথকতা,
প্রথম প্রেমের মায়াগুলো,
কালের চিরকুটেই জমে থাকা।
ভালোবাসতে.. বাসতে……
কোন একদিন, ভালোবাসা শিখে যাওয়া।
সেলিনা রহমান শেলী- কবি ও সাহিত্যিক।