আচ্ছা মনে কর আমি আর তুই…
বিকেলের মাঠে পড়ন্ত সুর্যের রাজত্ব ঠিকরে পড়ছে…
মেটোপথ, দু পাশে শরতের শুভ্র কাশফুলের দেয়াল আর শুনশান চারপাশ-
দুর্বার গা বিছানো চাঁদর, একটু সামনে নিরব নিথর নির্বাক নদী। পাড়ে বসে তার দুর্বার নুপুর পড়াবো পায়-
কিংবা চৈত্রের শেষের প্রান্ত সীমায় মাঠ ঢেকে গেছে বৈকালী ধানক্ষেতের সবুজ চাঁদর…
তোর হাতে হাত আঙ্গুলের ভাজে আঙ্গুল গুজে চারপায়ে অনবদ্য পথচলা…
মাঝে মাঝে কন্ঠে অগোছালো কবিতার দু’চার লাইন কিংবা বেসুরো গান….
আচ্ছা আমার ভালোবাসাটা কি পাটি গনিতের কিংবা বীজগনিতের মত কঠিন;
আমাকে বুঝতে হলে কি প্যাসকেলের সুত্র জানাটা সত্যিই আবশ্যক?
তোর হাতে বাঁধা হাতের দিকে তাকিয়ে একটু সহজ করেও তো ভাবতে পারিস-
“ভালবাসা ভালবাসে শুধুই তাকে;
ভালবেসে ভালবাসা বেঁধে যে রাখে”
অদম্য ভেসে চলা নীল আচল, গা ছোয়া তোর অবাধ চুলের স্পর্শ, কিংবা বারবার আড় চোখে তাকানোর মানেটা কি ভালবাসা প্রকাশে এতটাই অপারগ..??
যদি তাই হয় তবে আমিও এক পৃথিবী ভয়কে দু’হাতে সরিয়ে সবচেয়ে বড় মাপের স্টুপিডের মত চিৎকার করে বলব- শোন… “তোকে না আমি বড্ড ভালবাসি”.// –
মোঃ লুৎফর রহমান শুভ _ কবি,লেখক ও সাহিত্যিক