রবি ঠাকুর, তোমাকে শতকোটি নমস্কার,
বেছে বেছে তুমি “রবি” নামটি নিয়েছো বেশ,
রবির মতোই সাহিত্যে ধরনীকে আলোকিত করেছো,
রাখোনিতো কোন ক্লেশ !!
রবি ঠাকুর ।। তোমার সৃষ্টি সভ্যতার দৃঢ় ভিত্তি,
শিশুর মুখের প্রথম বুলি, সুবোধ শিক্ষা, তীক্ষ্ণ মেধা ।।
তোমার গান-কবিতা ও উপন্যাসে যুবাদের প্রেম,
মানবতার সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিরহ – যাতনা,
আলো ঝলমল দিবা ।।
রবি তোমার ধারালো লিখনিতে,
অসংগতির সংগতি,
অন্ধ পৃথিবীর সু-দৃষ্টি,
মানবতার দৃষ্টান্ত, ফুটে উঠেছে বারবার ।।
তাইতে তুমি বাঙলার গর্ব, বাঙালির অহংকার !!
রবি তুমি সাহিত্যাকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।
অখণ্ড বিশ্বসাহিত্য একই মানচিত্র,
সাহিত্যের সুঠাম গাঁথুনি,
মজবুত স্তম্ভ, উঁচু তর শির,
তেজস্বী দীপ্ত শিখা সাত মনি অলংকার !!
রবি তোমার ছড়া-গান-কবিতা, গল্প-উপন্যাসে আবালবৃদ্ধবনিতা মোরা খুঁজে পাই, প্রাণের ছন্দোময় স্পন্দন,
তাইতো তোমাকে প্রতিনিয়ত হৃদয়ে রাখি,
মননে করি স্মরণ !!
সাহিত্যের সকল শাখা-প্রশাখায়,
তোমার একচ্ছত্র অবাধ ও সফল বিচরণ,
তোমার সৃজন জ্ঞানালোকের আলোক বিচ্ছুরণ ।।
রবি তুমি বিশ্বজয়ের মুকুট পরেছো,
ছিনিয়ে নিয়েছো অমরত্বের জলছবি,
মরন নাই, তোমার বিনাশ নাই,
তুমিই চিরজীবী ।।
রবি আমি তোমার, অমিত লাবণ্য হয়ে নতুন কবিতা লিখতে চেয়েছি বহুবার,
হতে পারিনি অমিত লাবণ্য, লিখতে পারিনি একটিও কবিতা, ব্যর্থ হয়েছি বারংবার ।।
হতে চেয়েছি তোমার গল্পে, স্বজন-সুজনদের পারিবারিক নিয়মের যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়া হৈমন্তীর দীর্ঘশ্বাস,
দেখতে চেয়েছি কতোটা নিয়মের কষাঘাতে জর্জরিত হলে,
হৈমন্তীদের মতো সহজ সরল সাদা মানুষদের ত্যাগ করতে হয়, অবহেলা অনাদরে শেষ নিঃশ্বাস ।।
কতোবারই না তোমার “রানু” হৃদে রয়েছে,
হৃদপিণ্ডে করেছে বাস,
তাইতো জেগেছে হৃদয়ে আমার, তোমাকে ভালোবাসার তৃষিত পিয়াস ।।
তোমার সৃষ্টি অনুকরণে বিশ্ব পেয়েছে অমৃতের স্বাদ, সুখ্যাতি পেয়েছে অজ্ঞ জনতা, হয়েছে জ্ঞানী-গুণী সুধীজন,
মাথায় পড়েছে বিখ্যাতের মহামূল্যবান তাজ ।।
রবি তোমার সৃষ্টিকে আজ প্রণাম জানাই,
জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও নমস্কার,
তোমাকেও শতসহস্র কুর্নিশ জানাতে,
নেই কোন দ্বিধা ও লাজ ।।
শ্রাবণের বাইশে তোমার বিষাদময় ভেসে চলে যাওয়া,
সে তো মৃত্যু নয়, নয় মৃত্যু,
অসীম সাগরের তরঙ্গ উতরোল হয়ে
চির প্রাণের ছন্দে নতুন পৃথিবীর, নতুন গান গাওয়া ।।
নীল- কবিও সাহিত্যিক।