জাত ধরমের ঊর্ধ্বে উঠে ‘ঈদে’ কিংবা ‘রথে’,
রোদেজলে সারা বছর রিক্সা চালায় পথে।
নিয়ম করে সকাল বিকেল বের না হলে পরে,
সেদিন কিন্তু জ্বলে না আর আগুন রান্নাঘরে!
কষ্ট করে দিনের শেষে যা কিছু পায় হাতে,
কোনোমতেই ভাল করে ‘পেট’ ভরে না তাতে!
মাঝেমাঝেই আধপেটা রয় থাকে উপবাসী,
আজব কাণ্ড টাটকা থাকে তবু ঠোঁটের হাসি!
দিনের শেষে রিক্সা চালক পিতা গভীর দুখে,
নিত্যদিনই সুখ খুঁজে পায় মেয়ের হাসি মুখে!
বাবার প্রতীক্ষাতে মেয়ে দারে বসেই থাকে,
ঘরে ফিরে সিনান করেই আলিঙ্গনে তাকে!
পরশ পেয়ে মুহূর্তে ই টিনের চালার তলে,
বুকে জমা দুঃখ বরফ উত্তাপে তার গলে!
রাত্রি শেষে বিহানবেলা ঠিক বেরনোর আগে,
মেয়ের মনে ছবি তোলার হঠাৎই শখ জাগে!
আবদার মতন মেয়েটাকে সাজিয়ে দেয় রবি,
শখ মেটাতে রিক্সার ‘পরে তুলেই ফেলে ছবি!
হোক না গরিব রিক্সাবালা থাকুক মুড়ি খেয়ে,
বাবার কাছে ‘রাজকন্যাই’ প্রতি বাবার মেয়ে।
বিষ্ণুপদ বিশ্বাস – কবি ও সাহিত্যিক।
বর্ধমান, ভারত।