শব্দের কাছে জব্দ শেষে স্তব্ধতায় ডুবে থাকি,
বোকার স্বর্গে ধোকা খেয়ে খোকার ধুলো মাখি।
আজব কিছু গজব এসে গুজব বৃষ্টি ঝরায়,
ধনিক শ্রেণী বণিক কিছু অলীক মুদ্রা ছড়ায়।
ভালোবাসার ভাষা গুলো আশালতার ফুল,
অঝোর কাব্য ঝর্ণাধারায় ভাসিয়ে নেয় দু’কুল।
কাব্য পুরাণ আস্তরণ ধুলোর পলেস্তারায়,
কালান্তরের ছু মন্তরে অন্তর দিশা হারায়।
খল হুঙ্কার তোলে টঙ্কার বাক্যালঙ্কার যোগে,
ভুল নাটকে মুগ্ধ পাঠক আটক রূপের রোগে।
দর্শনদারী, গুণবিচারী কপটাচারীর মেলায়,
কুল গরবিনী রায়নন্দিনী মাতে স্বৈরিণী খেলায়।
রূপ পসরা কাব্য খসড়া যেন বসরাই গোলাপ,
ধারেও কাটে ভারেও ফাটে শুধু শুদ্ধতার খেলাপ।
আমায় শেষে পেয়ে বসে অতুল রসের ভান্ডার,
কিন্তু আমার চার দুয়ারে কিলবিল করে গন্ডার।
ত্রাহি যখন মধুসূদন সুধা সদন করে বিহার,
চিতায় জ্বলা অগ্নি মালা কলাবতীর উপহার ।
মোঃ নূরুল আলম – কবি ও সাহিত্যিক।