শিয়রে হিংস্র শীত দাঁড়িয়ে আছে কেশর ফুলিয়ে,
বাহিরে থমথমে ঘোর নিশুতি,
আছে কুয়াশার কাফন জড়িয়ে।
ধীরে বহে উত্তরের হাওয়া কুটোর বেড়ার ফাঁকে।
ওরা ঘুমিয়ে আছে নাড়ার বিছানায়,
আধো আহার আধো অনাহারে,
ক্ষুধার আগুন জ্বেলে।
নদীর ওপাড়ে বুনো শিয়াল,
এপাড়ে বাঁশবনে হুতুমপেঁচা,
অদ্ভুতুরে নিদারুণ শীত রাত।
নিভে গেছে তেলহীন লন্ঠন ,সেই কখন!
চোখে না পায় ঠাহর এ বাড়ি ও বাড়ি,
ঘন কুয়াশায় চারিদিকে ঢাকা।
টুপটাপ পাতা ঝরে শিশিরের জলে ভিজে,
ফুরায় না যেন পাষাণের মতো,
দুর্বোধ্য সুদীর্ঘ হীমের রাত।
ওরা ঘুমিয়ে আছে নাড়ার বিছানায় ,
আঁধার নেমেছে ঝেঁপে
জীর্ণ কাথায় জুবুথুবু ওরা
ক্ষণে ক্ষণে যায় কেঁপে।
কখন হবে ভোর অপেক্ষা কতো আর?
পাড়াগায়ের শীতরাত যেন অকূুল নিথুয়া পাথার।
রৌদ্রের গন্ধ মুছে গেছে সেই ঢের সময় আগে,
, কখন আসবে উষ্ণতায় মায়াবী সূর্যতাপ,
সূর্যটা আর কতপ দূরে?
ওরা অপেক্ষায় আছে কখন হবে ভোর
কখন হবে শেষ এই অসাড় শীতল রাত,
তুমি কি জানো না হে সুর্য
আর্তের ঘরে শীতরাত যেন শুধুই অভিসম্পাত?
কখন হবে ভোর সূর্যটা আর কতো দূর!
ও সূর্য অলস সূর্য দেবেকি একটু উষ্ণতার তাপ?
রত্না আফরোজ- কবি