পুরনো দিনগুলোর ভাঁজে লুকিয়ে থাকা অমলিন সেই স্মৃতির বৈশাখ, আজ বড্ড মনের অলিতে গলিতে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। কোনো এক বৈশাখে গিয়েছিলাম আমরা রমনার বটমূলে। আমি নিপা রত্না কি এক প্রবল উচ্ছ্বাসে, হাসি আনন্দ আর ভালোবাসা প্রলাপে কাটিয়েছিলাম সারাটি বেলা। সেদিন সেই বটমূলে শত শত প্রস্ফুটিত গোলাপের ভীড়ে আমরাও ফুটেছিলাম, সুবাস ছড়িয়েছিলাম সারাটি প্রহর জুড়ে! সেদিন আমরাও গেয়েছিলাম ছায়ানটের শিল্পীদের সাথে -“এসো হে বৈশাখ, এসো এসো “। নেচেছিলাম আমরা ডুগডুগি আর বাউলের গানের তালে। তারপর একটা সময় সেখান থেকে বেড়িয়ে চলে গিয়েছিলাম বুড়িগঙ্গার তীরে। খেয়া নৌকায় চড়ে ভেসে বেড়িয়েছি বুড়িগঙ্গার ঢেউভাঙা অথৈজলে। ঢেউয়ের তালে তালে বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ভয় আর ভালোলাগার ঘোরলাগা প্রহরে পৌঁছেছিলাম পাগলার মেরি এন্ডারসনে। সেদিন সেই ভাসমান রেষ্টুরেন্টে বসে বুড়িগঙ্গার বিশুদ্ধ বাতাসে উপভোগ করেছি জীবনের শ্রেষ্ঠ বৈশাখ, জীবনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত। যা আজও ভালোলাগায় ভরিয়ে দেয় সেই বৈশাখ। জীবনের এ অবেলায় আজও সুবাস ছড়ায় সেই বৈশাখ। স্মৃতি জাগানিয়া সেই বৈশাখ বেঁচে থাকুক একান্ত আমার হয়ে হৃদয়ের আঙ্গিনায়।
নাজমা সিরাজী- কবি ও সাহিত্যিক।