যতই সমস্যা থাক
নেই কোনো উৎপাত
কুয়োর ব্যাংঙ করেছ উৎখাত।
দু’একটা যদি করে লাফালাফি
অমনি রিসোর্টে ব্যবস্থা জলকেলি!
অতঃপর প্রাক্টিকাল ক্লাস দেহব্যবচ্ছেদ,
মস্তিষ্কের সেল প্রতিস্থাপন।
অতঃপর পিনপতন নীরবতা,
কালোপর্দা নামে ধীরে ধীরে,
সাহেদরা হারিয়ে যায়,
মামুনুল হক খসে পড়ে,
আবু ত্বহা আত্মগোপনে যায়
ঐক্যের ডাক দিলে,
কাঁটাতারের ওপারে নতুন ভেরিয়েন্ট,
ভ্যাকসিন যায় হাওয়ায় উড়ে,
করোনা সংক্রমণ কমে,
সুখের ঘরে মুনিয়ার লাশ পড়ে,
পরীমনিরা বিদেশি মদে মাতাল আত্মসম্মান ভুলে
ধর্ষণের বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরী করে।
করোনা সংক্রমণ আরও কিছুটা কমে!
অফিস আদালত চলে,
দোকানপাট শপিংমল খোলে,
কাঁচাবাজারে গলাগলি চলে,
গার্মেন্টস কর্মীরা ধুলা উড়িয়ে চলে,
দশ টাকায় পাঁচটা মাস্ক মেলে,
যাত্রীর মাস্ক যদিওবা থাকে
রিকশাচালক মাস্কহীন চলে,
ছেলেমেয়েদের ফুসকা চটপটি মেলে,
হল্লা করে সেলফি তোলাও চলে।
শিক্ষালয় চলে না
সচেতনতা সব শিক্ষালয় ঘিরে
মমতাকে মাধ্যম করে ভয়প্রদর্শন চলে
সংক্রমণ জুজুর ভয় ধরা হয় তুলে,
আবার ভ্যাকসিনের দেখা মেলে।
নগদ ডলার খরচ করে
কিনে এনে ভ্যাকসিন
বিনামূল্যে বিতরণ চলে,
কত গেল আর কত এলো
সে হিসাব রাখে ক’জনে?
বেশিকিছু হলে পরে
নাড়ী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে
করে দাও দেশ পার;
নয়তো সাজিয়ে নাটক
চার্ট্রাড বিমানের
রেখে দাও নিজ প্রাসাদে
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুরক্ষায়;
কে আছে বুঝতে পারার?
এমদাদুল হক হিমু – কবি।