আবির্ভাব – ৩
রেহনুমা সত্যি সেদিন কার ধ্যানে মগ্ন ছিল?
সে কথা শুধু রেহনুমা’ই জানে।
ছিল হয়তো বা কেউ!
সেদিনের ঘটনা টি একটি আলোচিত ঘটনার মতই ছিল,,
কতটা উদাস হলে এমনটি হয়……..
ডালে চা পাতা ঢেলে দিতে যেয়েও থেমে যায় রেহনুমা।
জীবনের ভিতর চেপে থাকা মন এমনও হয়—-
জীবনটা কখনো ঊর্ধ্বকাশ, কখনো আবার নীম্নচাপ!
রেহনুমা ধীরে ধীরে নিজেকে একটি গন্ডীর ভেতর আটকে নিয়েছে।
প্রতিবাদীর চূড়ান্ত পর্ব টা না হয় গোপনেই চাপা থাক!!
এক সময় রেহনুমার – সুন্দর এই পৃথিবীটার প্রতি খুব’ই- ক্ষোভ জমা পড়েছিল,,
দিশাহীন ভাবে অদৈর্য্যের মত কাজ করতো_
অনীহা জাগতো।
হঠাৎ একজনের “আবির্ভাব” ঘটে—রেহনুমার জীবনে!
সেটা রেহনুমা খুব বেশী বলতে চাইছে না।
মনের ভিতরেই থামিয়ে রাখে”
এক সময় খুব প্রিয় হয়ে উঠে সেই “আগন্তক”
বেঁচে থাকার পথ দেখায় রেহনুমাকে…….
বেঁচে থাকতে সাহায্য করে
রেহনুমাও একটি অবলম্বন খোঁজে পায়!
আবারো নতুন পথের সন্ধান পায়
ভীষণ বাঁচতে ইচ্ছে করে—– ঐ মানুষ’টির সাহায্যার্থে হাত ধরে!!
এক সময় অনেকটা আপন হয়ে যায়
ভাল কথা গুলো শুনতে বেশ ভাল লাগে,,
ইদানিং রেহনুমা আকাশ ছোঁয়া কল্পনায় হারিয়ে যেতে চায়……
তবে মনের কোণেই জমে রয় ভাবনার স্বপ্ন গুলো!
কিছু কিছু ভাল লাগা ভাবতে বেশ ভাল লাগে__
ঐ আকাশের অপরূপ মেঘের সৌন্দর্য্য গুলো রেহনুমা ঐ মানুষ’টির সাথে মিলিয়ে নেয়!
নিজের ভেতরে হাতের স্পর্শতার ছোঁয়ায় দেখেছে কতটা আকাংখা জাগলে মন অনেক বড় হয়!
জীবন সতেজ হয়ে উঠে,,
মন বেঁচে উঠে,,
কোনো শেষ দৃশ্যের প্রয়োজন হয়না_
যবনিকা টানতে হয়না,
আপনা থেকেই দুটি মানুষ মধ্য জীবনে এসে যায়।।
রেহনুমা বেঁচে থাকে ভালো মানুষের সংস্পর্শে!
জীবন থেমে গেলে ও মন কখনো থেমে যায় না।
রেহনুমা আর থেমে থাকে নি,,
আজকাল ভালো কিছু কাজে সহযোগিতা করে
রেহনুমা ভীষণ ভালো আছে।
সমস্ত কিছু পেছনে ফেলে এসে—-
একদম একা থাকতে চায়
জীবন যুদ্ধে রেহনুমা হেরে যেতে রাজি নয়
তাই বেশ আছে
যে ছিল কাছের একজন, আপনজন
সে এখন নিজের ভাবনা ভেবে নিয়েছে।
বর্তমানে অন্য চিন্তা ভাবনায় ব্যস্ত সে।
সত্যি বলতে আজ আর পাশে কেউ নেই রেহনুমার!
মিতা- কবি,সাহিত্যিক ও সংগঠক।