অনেক দিন হলো এমন করেই চলছি।যেন কারাবন্দী জীবন। শুধু আমিই কি? না আমরা সব্বাই যে কোন কিছুকিছু চাওয়া পাওয়া না পাওয়া জন্ত্রনায় ভুগছি। তাই আর ভালো লাগেনা,আমি নিজে নিজেকেই ঘৃনা করি। আমার মাঝে মাঝেই মনে হয়,হয়তো আমার মানব জন্মটাই বৃথা।পারিনি অন্যকে সুখে রাখতে,পারিনি নিজেকেও সুখে রাখতে।এমন চাওয়া কেউই প্রত্যাশা করে না। সুখী সুন্দর জীবন ধর্ম মতে সবাই চায়।কেউ পায় কেউ পায় না, আমি পাপী’র মতো আর কারো জীবন যেন এমন না হয়।
হাজারো কষ্ট বুকে চাপা রেখে ধুকধুক করে চলছি।এভাবে আর নয়,তাই যে কয়দিন বাঁচবো। নিশ্চয়ই দ্বীনের পথে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। লোকদেখানো নয়রে গাধা,বুকে রেখে আল্লাহর ভয়।একা নিরবে নিভৃতে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। সেটা হোক কারামুক্ত বা কারা যুক্ত। ভাগ্যকে মেনে নিতেই হবে। কপালে যদি জেল জরিমানা থাকেই তবে নিশ্চয়ই জরিমানা নয়,জেলই মেনে নিবো।আছিই তো জেলে, বর্তমান জেলের সিমানাও নাকি বেড়েছে। মিডিয়ার সুবাদে নজরে পরে।ওখানে আমার চেয়ে অনেক গুণ বড়ো বড়ো মাপের মানুষ ও রয়েছে। তাই ভয় নাই,অন্যায়,অবিচারের কাছে মাথা নত করবো না।এক আল্লাহ ছাড়া। আসলেই জেল জরিমানা আমাদের জন্যই।এদেশের সাবেক বর্তমান সকল দলের নেতা নেত্রী জেল জরিমানার স্বীকার। তাহলে আমার বেলায় আমি আলহামদুলিল্লাহ। ইসলামের বাইরের কোন বিষয় নয়। সঠিক সত্য প্রকাশে সব খানেই বাঁধা। তারপর ও আল্লাহ রাসুল সাঃ এর মহব্বতে অনেকেই জেল জুলুমের শিকার। তবে আমি চেষ্টা করবো মানবতার পক্ষে কাজ করার। ওখানে অনেক কাজ আছে যা বাস্তব জীবনে উপকার উপকার শুধুই উপকার বয়ে আনবে যা পরজনমের কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ। তাই কেউ কাউকে জেলের ভয় দেখি ওনা। কম বেশী সব্বাই কিন্তু জেলেই আছি।আল্লাহ আমাদের হেদায়েত ও হিফাজত দান করুন আমিন। সবাই সবার মঙ্গল কামনা করি। সবাই সবাইকে ক্ষমা করি।জানিনা কে কখন বিদায় নিবো, কোন নিয়মে তাও জানিনা। তবে চলুন চেষ্টা করি নিজেরা নিজেদের বদলাতে……..
বেলাল হোসাইন বকুল -কবি ও সাহিত্যিক ।