মায়ের মৃত্যুর পর মোবাইলে চার্জ শূন্য শিশিরের।
মনের মধ্যে চিন চিন করে উঠছে বারবার। মায়ের দাফনের ৫ ঘন্টা পর ইমনের ফোন এলো শিশিরের মোবাইলে।
ইমন, অনেক বার চেষ্টা করেছি মায়ের শেষ অবস্থা জানার জন্য।
– উনি আমি বাসায় পৌছার আগেই মৃত্যু বরন করেছেন।
এখন কি অবস্থা শিশির?
-অনেক আত্নীয় এসেছিল। সৃষ্টিকর্তার নিকট যে যেমন প্রার্থনা করে বিদায় হয়েছে। ২/৪ জন আছে।
আচ্ছা বিধাতা তাকে ক্ষমা করুন। এভাবেই ইমন শিশিরের কথা শেষ হলো।
সোমবারের রাত কেন জানি খুব গম্ভীর। অন্ধকারে ছেয়ে গেছে পৃথিবীর জনপদ।শন শনে রাতে বন বিড়ালের দল পাইচারী করছে।শিশির ইমনের ঘুম আসছেনা।কাল অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা। শিশির রোকেয়া হলে আর অপর দিকে ইমন কাজলা পদ্মা ছাত্রাবাসে।
বাসা থেকে আসার সময় ও আগে ফোনে কথা হয়েছিল তাদের। পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে দুজনের বেশ সলাপরামর্শ হচ্ছিল তাদের।
সম্পর্ক যাই হোক, শিশির ইমনের সার্বিক চালচলন খুবই মিষ্টি মধুর।
একে অপরের সঙ্গী হিসেবে কল্পনা করতে শুরু করেছে ইমন – শিশির।
পরীক্ষার শেষ দিন,শিশির আজ বিশেষ ভাবে একটি ইনভাইট করবে ইমনকে।মনের ভিতরে ফিলিংস নিয়ে পরীক্ষার শেষে শিশির বলল, আগামী পরশু মায়ের মিলাদ ( দোয়া অনুষ্ঠান )
ইমন প্রস্তুত থেক কাল বিকেলে আমার সাথে লালপুর যেতে হবে।
বাবা আর ভাইয়ার সাথে তোমাকে প্রেজেন্ট করতে চাই।
কথা গুলো শেষ হতে না হতেই ইমনের মাথায় বাজ পড়ল।
এ কি শুনলো আজ, কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেনা শিশির মুসলিম পরিবারের মেয়ে।
সাময়িক ইমন ফ্রিজ হয়ে গেল। মানে…..! আমি…….!
কি ইমন এমন করছ কেন? কি হয়েছে তোমার?
– মানে বলছি বাবার শরীর খারাপ।
বাবাকে কথা দিয়েছি কাল বাসায় যাব, আর পরশু তো স্বরস্বতী পূজা।
…….. চলবে
আব্দুল মতিন – সম্পাদক, চেতনা বিডি ডটকম