Take a fresh look at your lifestyle.

নিক্তি- দুই

467

 

আলো খুব চঞ্চলা মেয়ে।
গ্রামের মিন্টুর বোকামি দেখতে তার খুব ভাল লাগে।
মিন্টু আলোর চেয়ে চার বছরের বড় কিন্তু আচার আচরণ খুবই সাধারণ সাদামাটা স্বভাবের। আলো গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছে। পরীক্ষায় মন্দ রেজাল্ট হলেও তার মধ্য বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি।
তিতাসের তীরে মিন্টু ছিপ দিয়ে মাছ ধরছিল।পেছনের জাম গাছের আঁড়াল থেকে মাটির ঢিলা ছুড়লে পানিতে পুরো শরীর ভিজে গেল মিন্টুর।
মিন্টু গম্ভীর স্বরে বলল,

আব্দুল মতিন- সম্পাদক,চেতনা বিডি ডটকম

কি রে ! তোর হুস খেয়াল কবে হবে?
– হুস হলে মেট্টিক পরীক্ষায় ফেল করতাম নো।

এসময় কি খবর তোর বল?
– ঐ দেখ কোমর পানিতে পদ্ম ফুইটা আচে।
আমি দুইডা চাই !

ইচ্ছে না থাকলেও আলোর মুক্ত আবদার রক্ষা করতে মিন্টু পদ্ম তুলে দিল।
– আমি হাতে মেনদি দিচি। চুলের খোপায় পরাই দিতে হইব।

মিন্টুকে দুর থেকে দেখলে কখনো কান্না, কখনো হসি, কখনো সহজ কাজ কঠিন করে তার সাহায্য নেবার ফন্দি আটত আলো।

তবে মাঝে মাঝে ঝাল পিঠা, তিল আর নারিকেল নাড়ু বানিয়ে নানা কৌশলে মিন্টুকে খাওয়াতে ভুল করেনি আলো। আলোর মা মারা যায় যখন তার বয়স এগারো।
কবির মিয়া বড় আদর যত্নে আলেয়াকে মানুষ করলেও মা-বাবার শূন্যতা বুঝেছে যখন বাড়িতে জয়তুন ভাবি এসেছে।জয়তুন ভারি অহংকারী মেয়ে।

কবির সব বুঝেও স্ত্রী যত্নের কারনেই চুপ থাকতে হয়।
এবার আলোর বিয়ে ঠিক করেছে পরশু সপ্তাহের শুক্রবার।

হাতে চৌদ্দ দিন সময়। আয়োজন করতে হবে অর্ধহাজার মানুষের খাবার দাবার আর মাথায় আছে পাঁচ ভরি সোনার চিন্তা।

____ চলবে

Leave A Reply

Your email address will not be published.