ফুলের মত ফুল হতে চাই
ফুলের মত ফুল,
যে ফুল পেলো নবীর পরশ
গন্ধ যার অতুল।
অথবা
তুমি মালিক তুমি খালিক
তুমি রহমান
তোমায় দয়ায় ফুল পাখি গায়
নদী বহমান
অথবা
হাল জুরবার সময় হচে যে
লাঙল গরু লিয়া চ।
অথবা
ও মুই বসা থাকুম বাড়িতে
আর যামুনা গয়েন্দিগিরিতে ।।
এ রকম অসংখ গানের শ্রষ্ঠা, ” রোহিঙ্গা সমস্যা ও বাংলাদেশ ” এই জটিল বিষয়ের গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের
আজ ২৮ শে ডিসেম্বর /২০২০ ইং তাং ৪৯তম জন্মদিন। ডক্টর মাহফুজুর রহমান আখন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক। মিষ্টভাষি বন্ধুসুলভ এই লেখক গীতিকার প্রাবন্ধিক সাহিত্য সমালোচক গবেষক ও নন্দিত শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবুজ মতিহারের গন্ডি পেড়িয়ে সারা দেশে ও দেশের বাইরেও শক্ত অবস্হান তৈরী করে নিয়েছেন শুধু তার মেধাশক্তি দিয়ে। ১৯৭২ সালের ২৮ ডিসেম্বরে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নে শ্যামপুর গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে পিতা মোজাফ্ফ রহমান আখন্দ ও রত্নগর্ভা মা বেগম মর্জিনা আখন্দের ঘরে জন্ম গ্রহন করেন। আট ভাই বোনের মধ্যে মাহফুজুর রহমান আখন্দ দ্বিতীয় সন্তান।
ড.মাহফুজুর রহমান আখন্দ একজন অনন্য সাহিত্য পুরুষ, সাহিত্যের সকল অঙ্গনে যার অবাধ বিচরণ। তিনি একাধারে একজন কবি গিতীকার ছড়াকার, শুধু ছড়াকার বললে অনেক কম বলা হয় সত্যিকার অর্থে তিনি ছড়ার যাদুকর। চলমান বাংলা সাহিত্যের
পাঠকপ্রিয় কবি প্রাবন্ধিক গবেষক গীতিকার– ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নন্দিত শিক্ষক মোট কথা একজন নক্ষত্র, তিনি কোন গ্রহ বা উপগ্রহ নন তিনি নক্ষত্র, নক্ষত্র বলছি এই জন্যই যে নক্ষত্র নিজের আলোয় আলোকিত ডক্টর মাহফুজুর রহমান আখন্দও তাই নিজের আলেয় আলোকিত হয়েছেন ার সেই আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশ থেকে বিদেশে।
বন্ধু সুলোভ মিষ্টভাষি এই সাহিত্য পুরুষ সম্পর্কে বা তার লেখা লেখি সম্পর্কে বলতে গেলে বলতেই হয় যে, তার লেখা ছড়া, লিমেরিক ও কবিতা লেখনে উপযুক্ত শব্দচয়ণ ও অন্তমিল সবসময় পাঠকদের মুগ্ধ করে।
কবির চিন্তা চেতনার কেন্দ্রবিন্দু দেশের কল্যাণ, মঙ্গল ও উন্নয়ন নিয়ে। বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে দেশটাকে সুন্দর করে সাজানোই কবির প্রত্যাশা যা তাঁর লেখা ” আফসোস ” কবিতা পড়লেই বুঝা যায় সেখানে তিনি লিখেছেন —–
” হায়রে নীতির রাজা
কেউবা উড়ায় মজার ফানুষ
কেউবা খাটে সাজা ”
কবির কবিতায় কেবল আফসোস নেই আকুল আবেদনও আছে—- যা কবির প্রকাশিত ছড়ামাইটের ” তাড়াও ” নামক কবিতা লাখেছেন—
” বিবেকটাকে নাড়াও
শপথ নিয়ে খাড়াও
ইঁদুর শকুন তাড়াও। ”
চেনা বামুনের যেমন পৈতা লাগেনা তেমনি ডক্টর মাহফুজুর রহমান আখন্দকে নিয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হয়না ” আখন্দ ” বললেই সবাই বুঝে যায় বগুড়ার সেই উজ্জল নক্ষত্র বিল্লু, বিল্লু বললাম এই জন্য যে তাঁর লেখা বগুড়ার আঞ্চলিক গান ” এ বিল্লু চ মাছ মারবার যই/ ট্যাংড়া ছাতান গচি মাগুর যদিল কিচু পাই, তাঁর লেখা এই জনপ্রিয় আঞ্চলিক গানটি দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শত সহস্রবার গেয়েছেন তবুও তাঁর ভক্তকুলের হৃদয়ের তৃষ্ণা মিটেনি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি যেখানে তাঁর নামের প্রয়োজন হয়না বিল্লু বলেই পরিচিত হয়ে যান।
ড.মাহফুজুর রহমান আখন্দ গান, কবিতা ছড়ায় যা কেবল প্রেমিক মনে দোলা দিবে এমন লেখাই লিখে যাননি বরং তিনি তার ভূতুরে লেখায় জ্বিন-পরী ভূত-পেত্নি লোকজ উপমায় সমাজ ও দেশের মানুষকে সচরতন করে তুলতে চে্রস্টা করেছেন। দেশের মানুষ উজ্জিবিত হলে কুসংস্কার থাকবেনা, দেশের উন্নতি উচ্চ শিখরে গিয়ে পৌঁছবে, তারা কুসংস্কার, অন্যায় অবিচার অত্যাচার থেকে দুরে থাকতে আহ্বান করেছেন। সোনার বাংলা গড়তে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে বলেছেন— কবির ভাষায় —–
” সোনার স্বদেশ গড়তে হলে
তাড়াও সকল ভুত
ঘুমকে তাড়াও জাইগা উঠো
মানব জ্বিনের পুত ”
ড. আখন্দ যে কোন ধরনের লেখালেখিকে সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে মনে করেন। এই গবেষক গবেষনা প্রবন্ধের পাশাপাশি বাংলাদেশের সমাজ- রাজনীতি, সাহিত্য সংস্কৃতি, ইতিহাস- ঐতিহ্য প্রভৃতি বিষয়ে জাতীয় ও স্হানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধ নিয়মিত লিখে চলেছেন। তার প্রতাটি লেখায় সমাজের নানা অসঙ্গতি ও মানবিক বিপর্যয়সহ নানাবিধ দুঃখদূর্দশার অভূতপূর্ব চাত্র ফুটে উঠে। তাঁর প্রকাশিত ‘আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস’ আরাকানের ইতিহাসের এক অনবদ্য প্রামন্য গ্রন্থ ।
ডক্টর মাহফুজুর রহমান আখন্দের সৃষ্টির সম্পর্কে এই দু এক কথায় বলে শেষ করা যাবেনা
আজ এই কালজয়ী লেখক তথা সাহিত্য নক্ষত্রের জন্মদিন
ড.মাহফুজুর রহমান আখন্দ “এর জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছাসহ ভালোবাসা ও অভিনন্দন।
প্রিয় কবির সুস্বাস্হ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি-
মঞ্জিলা শরীফ- কবিও সাহিত্যিক।