আচ্ছা ঠিক আছে বাবা তুমি এখন যাও আমি দুধটা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো। এদিকে পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে দুই শিক্ষক মুড়োলের বাড়িতে প্রিতমকে সব বুঝিয়ে দিয়ে দু হাত ভরে টাকা নিয়ে গেল।
পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় অদৃশ্য বন্ধু রিপন কে বললো বন্ধু তুমি কোন চিন্তা করো না আমি তোমার সাথে আছি।
পরীক্ষা শুরু রিপন তার যথা নিয়মে সব লিখে গেল আর প্রিতম মুখে কলম দিয়ে বসে থাকলো। কারণ তার প্রশ্নগুলো অদৃশ্য শক্তি সব বদলে দিয়েছিল। এবার আর সে দুর্নীতি করতে পারলোনা।
পাশ দিয়ে সেই শিক্ষক যেতেই প্রিতম বলে উঠলো স্যার আমাকে কি প্রশ্ন দিয়েছেন কিছুই তো মিলেনা। মানে! কাল এই প্রশ্নই তো তোমাকে দিয়ে এলাম দাও দেখি বলে শিক্ষক হাতে প্রশ্ন নিতেই আবার প্রশ্নটি আগের মতো হয়ে গেল। কই ঠিকই আছে তো। কিন্তু প্রিতমের হাতে পড়তেই আবার প্রশ্ন বদলে গেল।
এ সবই ছিল অদৃশ্য শক্তির খেলা। দুর্নীতি দমন করার পদক্ষেপ মাত্র। প্রিতম খুব চিল্লাচিল্লি করলো স্যারের উপর।
আমার বাবা আপনাকে দেখে নিবে স্যার। কাল এতো করে টাকা নিয়েছিলেন দেখবেন মজা। এই কথাগুলো শুনে সব ছাত্ররা হা করে তাকিয়ে থাকলো ওই শিক্ষকের দিকে।
শিক্ষক লজ্জায় সেখান থেকে দৌড়ে পালালো। রেজাল্টের দিন পরীক্ষায় প্রথম হলো রিপন। আর প্রিতম পাশই করতে পারলো না। এই প্রথম রিপন তার যথাযথ মূল্য পেল।
প্রিতমের বাবা রাগে-ক্ষোভে প্রিতমকে দূরে শহরের হোস্টেলে পাঠিয়ে দিলো আর মুড়োল বহুদিন বাড়ির বাহিরে বের হলেন না।
সব কিছুরই শেষ আছে আর দুর্নীতির শেষ হয় খুব দুঃখজনক ভাবে। তাইতো জ্ঞানীগণ সর্বদা বলে এসেছেন- “ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না”।
রাজিয়া সুলতানা- সহসম্পাদক, চেতনা বিডি ডট কম