সে কোন কথায় বলতে পারলো না শুধু কেঁদেই যাচ্ছে কেঁদেই যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর,
বাবা আমি আর কাল থেকে স্কুলে যাব না পড়াশোনা ও করবো না তোমার সাথে মাঠে কাজ করবো বাবা।
কেন রে এমন কথা ক্যান বলছিস বাজান।
তুই মাঠে কাজ করতে পারিস বোকা! এ কাজে অনেক কষ্ট রে বাজান।
তুই ল্যাকাপড়া করবি অনেক বড় অপিসার হবি এ আমার কত্তোদিনের আশা।
তুর মাও তো তাই চাইচিলরে।
আজ সে ব্যাঁইচা থাকলে কত্তো কষ্ট প্যাতো বলতো তুর কথা শুনে।
তে কি করবো বাবা আমার যে এতো পড়ে কোন লাভ নেই বাবা।
তুমি তো জানো আমি ক্লাসের সব পড়া করি কিন্তু পরীক্ষায় যেয়ে প্রথম হয় প্রীতম।
এমনকি আমাকে সামনের সিটে বসতেও দেয় না।
মনে হয় পুরো স্কুলটায় ওর কেনা।
তাহলে তুমিই বলো আমার এতো কষ্ট করে কি লাভ।
মুন খারাপ করিস না বাবা একদিন দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।
অন্যায় করে কেউ কখনো জিততে পারে না বাবা। অনেক বোঝানোর পর রিপন মনে শক্তি পেল।
আবার নতুন করে সব শুরু করলো কিন্তু পরের বছর ঘটলো সেই একই ঘটনা।
না এভাবে আর কতদিন চলবে রিপন তো প্রায় ভেঙেই পড়েছে এবার।
ঘরের দরজা বন্ধ করে অন্ধকার ঘরে কাঁদছে রিপন। হঠাৎ এক অদৃশ্য শক্তিতে আলোকিত হলো পুরো ঘর। ও ভয় পেয়ে গেল।
কিন্তু তৎক্ষণিকভাবে উত্তর আসলো ভয় পেয়োনা বাছা আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না আমি তোমার বন্ধু।
আমি বরাবর সৎ এবং কর্মট লোককে সাহায্য করে থাকি। তাদের উপযুক্ত মূল্য দিয়ে থাকি।
এবার রিপনের একটু ভয় কমলো। রিপন তার মনের সকল কষ্টের কারণ খুলে বললো।
তুমি কিছু চিন্তা করো না বাছা এবার দেখি অন্যায়ের শক্তি কতটা শক্তিশালী।
তার সাথে রিপনের ভাব হয়ে গেল। রিপনের পড়ার সময় কাছে এসে বসে থাকতো।
আর তার কেরোসিনের অভাবে রাতের পড়া থেমে থাকলো না।
অদৃশ্য শক্তির আলোয় আলোকিত হল ঘর সারা রাত জেগে পড়াশোনা করলো রিপন।
তার বাবা গ্লাসভর্তি দুধ নিয়ে দরজায় আসতেই অদৃশ্য বন্ধু উধাও হয়ে গেল।
বাবা রিপন আর কত্ত রাত জ্যাগ্যা পড়বি বাবা এবার দুতটা খ্যায়্যা ঘুমাইয়া পড় কাল তো পরীক্ষা আছে বাবা সক্কাল সক্কাল উঠতে হবি।
চলবে……
রাজিয়া সুলতানা – সহসম্পাদক, চেতনা বিডি ডট কম