কিছু প্রিয় মুখ ছোট বেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি।তাদের অভিনয়ে কেঁদেছি,হেসেছি,কখনও ঘৃণাও করেছি চরিত্রের কুটিলতায়। এটিএম শামসুজ্জামান তেমনই একজন শক্তিমান অসাধারন অভিনেতা।
এই অসাধারন অভিনেতার জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ নোয়াখালী জেলায়।পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্য তিনি ছিলেন সবার বড়।১৯৬১ সালে “বিষকন্যা” সিনেমার মাধ্যমে প্রথম সহকারি পরিচালক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।১৯৬৫ সালে কৌতুক চরিত্রের মাধ্যমে প্রথম অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এই অসাধারন অভিনেতা। ১৯৭৬ সালে “নয়নমণি” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খল অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হন।তারপরের ইতিহাস আমরা সকলেই কম বেশি জানি। বাংলা চলচ্চিত্রে তার মত শক্তিশালী খল অভিনেতা কমই আছে।
শুধু খল চরিত্রে নয়, যে কোন চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে তার যে অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা তা চিরদিন মানুষ মনে রাখবে।
এটিএম শামসুজ্জামান পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক এবং অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।তিনি খুব ভাগ্যবান একজন অভিনেতা সকল স্তরের দর্শক তাকে ভালোবেসেছে।
এই জগতে ক্ষনকালের রঙ্গমঞ্চ।সবাইকে চলে যেতে হবে।চলে যেতে হয়।তারপরও কিছু মানুষ মনের মনি কোঠায়,ইতিহাসের পাতায় রয়ে যান তাদের কর্ম দিয়ে।
আজ ২০.০২.২০২১ সকাল ৯ টায় এই অসাধারন অভিনেতা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে।আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
এটিএম শামসুজ্জাম বেঁচে থাকবেন আমাদের ভালোবাসায়। তার অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।
এই কিংবদন্তী অভিনেতার উদ্দেশ্য বলতে চাই,”যেখানে থাকেন, ভালো থাকবেন স্যার।”
সেলিনা রহমান শেলী- কবি ও সাহিত্যিক।