নির্ভার ধনুকের ছিলার মতো,
নিজের শরীরের চামড়া তুলে
তাঁর ভিতর তোমাকে আমি
ছায়াবাঁধাই করে রেখেছিলাম হরহামেশা-
অথচঃ তুমি আমাকে সূর্যের মত করে রাখলে কেনো বৈশাখী?
তোমার উষ্ণ শয্যার গুপ্তচরে
নিজেকে আর কত লুকিয়ে রাখতে পারি- তুমি নিজেই বলো?
পরিতৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলতে ভয়ানক কষ্ট হয় আমার।
তপ্ত ছড়ানো অনন্য এক প্রাচুর্যের সমাহার তুমি,
বুকের ভিতর আগুন জ্বলতে জ্বলতে
তরতাজা ছায়ানীড়ের শস্যগুলো অঙ্গার হয়েগেছে-
শুধু তোমার জন্য
বিষাদের ছত্রাকে, নিজেকে আঁকতে আঁকতে;
রংধনুর কথা মনেই পড়েনা।
প্রজাপতি সুরক্ষা খোঁজে মৃদুতায়
ঢেউখেলানো উড়ালে,
আর আমার আকাশে উড়ে ঘৃণার স্ফুলিঙ্গ-
আজকাল নিন্দার তুফানে বাতাস করে আমাকে।
অশ্রু ও ভালোবাসার স্রোতে হাঁটতে হাঁটতে,
নিদ্রার পা’ গুনে গুনে- দিনরাতে চব্বিশ হয়েও বিষে বিষে হাঁড়ি তলিয়ে যায়
সাড়ে তিনে;
এখন শুধু অবুঝ শিশুর লজেন্সের মতো,
গালবেয়ে ঝরে পরে- হলুদরঙা কতগুলো ঘাম।।
ফকির হোসাইন -লেখক,কবি ও সাহিত্যিক