সত্যেন সেন একজন চিন্তা শীল লেখক, সাহিত্যিক,সংগঠক,রাজনীতিবিদ,আবার ইতিহাসবেত্তা। এ বইয়ের শুরু যেভাবে –
১৪৮৮সালে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপ পুঞ্জ ইন্দোনেশিয়া, কালিকট,মালয় সহ আশেপাশের অঞ্চল।
ঐ সময় বন্দরে হাজার হাজার নৌকা ভীড়ত।
আরবীয় নাবিকের আনাগোনা বেশি তবে শুরু হলো মিশরীয় আর পর্তুগীজদের উপনিবেশ।
সম্পদ এ অঞ্চলের ৯০ ভাগই মসলা।
এই ধরুন, গোলমরিচ, দারুচিনি, এলাচ ইত্যাদি।
পর্তুগালের রাজা ছিল দ্বিতীয় ডোম।
এ রাজার লোলুপ দৃষ্টি মসলার উপরে।
১৪৯৭ পতুর্গীজরা কমান্ডার ভাস্কো দা গামাকে সাথে নিয়ে ব্যাবসা বানিজ্য নাম করে এ অঞ্চল চুষে বেড়াত। ১৫০০ সালে ইংল্যান্ড আর পর্তুগালের সন্ধির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
প্রস্তুতি চলে যুদ্ধের – উদ্দেশ্য মসলা পন্য দখল করা।
হংকং এর এক ক্যাপ্টেন এবিষয়ে একটি পত্র প্রেরন করেন স্বদেশে। বিশ্ব আদালতের ভয় আর যৌক্তিক অনুসন্ধি অভিপ্রায়ে পর্তুগীজ বনিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
কালিকট বন্দরে সোরগোল পড়ে যায় অল্প সময়ের মধ্যে। মসলা চাষীরা ও এ দ্বীপ অঞ্চলের মানুষরা লাঠিসোটা,আর মরিচের গোড়া নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় ঘিরে ফেলে পর্তুগীজদের।
ভাস্কো দা গামা যুদ্ধে ইস্তেফা দিয়ে পালায়ন করে।
শুরু হয় রনকৌশল।
পর্তুগাল এক পর্যায় নৌ বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপন করে,ইংল্যান্ডের সাথে চলে যুক্তি। প্রতিবেশি রাজ্য হাতে রাখার জন্য লোভ দেখানো হয়। মসলা চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা হয় ধান আর সাগু চাষে।
অবশেষে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হল।
সমর আক্রমনে এক পর্যায় এ অঞ্চলের মসলা হস্তগত করল পর্তুগাল। কত টাকার সম্পদ তা অনুমান করা যায়। কারন এ যুদ্ধের শেষে লুন্ঠিত সম্পদের ভাগ শুধু ডোমেইন পেয়েছে ২ লক্ষ স্বর্নমুদ্রা।
সত্যিই বিস্ময়কর এ কাহিনীর উপস্থাপন করেছে সত্যেন সেন।
তার এ বইয়ের অভিপ্রায় চিন্তাশীল লেখক ও পাঠকদের মনে নব চেতনা সৃষ্টি করে।
আব্দুল মতিন_সম্পাদক, চেতনা বিডি ডটকম