Take a fresh look at your lifestyle.

ক্যান্সার পর্ব ছয়

979

৫ম পর্বের শেষ দিকটায় ছিল মানসিক চাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন এবং অপরকেও নিরাপদে রাখুন। এই পর্বে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য সূত্র থেকে কিছু পরামর্শ :
খাধ্যাভ্যাসঃ ক্যান্সারের আবির্ভাব বা ফিরে আক্রমণ করার অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে আপনার আমার খাধ্যাভ্যাস। বিভিন্ন গবেষক তাঁদের গবেষনায় এবং অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত যে সব ধরণের ক্যানসারের শতকরা ৩৫-৪০% এর উৎস খাধ্যাভ্যাসের মধ্যে পাওয়া যায়। আমাদের উদ্দেশ্য যদি হয় যতদূর সম্ভব ভালো স্বাস্থ্য কিংবা কেবলমাত্র রোগপ্রতিরোধ করার চেষ্টা অভ্যহত রাখা তাহলে খাধ্যাভ্যাস থেকে আমরা যথেষ্ট পরিমান উপকৃত হতে পারি। আর শরীরে যদি রোগ সক্রীয় থাকে তখন এটি অতিমাত্রায় বিবেচ্য। একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা যেন অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষ্নপ্রাপ্ত ও পেশাদার স্বাস্থ্যবিদের তত্ত্বাবধানে করা হয়। যিনি পুষ্টি সম্পর্কে অভিজ্ঞ। আমি মনে করি যে সমস্ত রোগী মোটামোটি স্থীতিশীল অবস্থায় আছেন, তাদের জন্য ঔষধ , পথ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থার আয়োজন নিরাপদ। তবে তাদেরকে অবশ্যই অভ্যাস বদলানো এবং শেখার জন্যে খোলা মন নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। যারা কম স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন, তারা যেন সাবধানতা অবলম্বন করেন এবং উপযুক্ত চিকিৎসকের তত্তাবধানে থাকুন।
ডাঃ গ্যারসন তাঁর লিখা “A Cancer Therapy:Results of Fifty Cases” নামক বইয়ের উল্লেখিত বিষয় থেকে যে ধারণাটি পাওয়া যায় তা হলো, আমাদের খাদ্য এবং পারিপার্শিক পরিবেশ ও প্রকৃতি থেকে অতিরিক্ত দূরে সরে আসার কারণে এর উদ্ভব। তাঁর মতে, অনৈসর্গীক পদার্থসমূহের আয়ত্বে আমাদের যে শারীরিক ক্ষমতা তা ছাড়িয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের ক্যান্সার হয়”। তিনি মাটিতে অতিরিক্ত কৃত্রিম সার ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, অতিরিক্ত পরিশোধিত এবং বিষাক্ত অন্য উপাদান মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য, নিম্নমানের খাদ্য প্রস্তুতি এবং পরিবেশ দূষনকে চিহ্নিত করে ও বলেন, এসবের প্রত্যেকটি একজোটে শারীরিক কর্মকান্ডের ওপর কুপ্রভাব বিস্তার করে। সময়ের সাথে সাথে এগুলো শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দূর্বল করে ফেলে। এই অবস্থায় যখন কোন একটি কারন শরীরের স্থান বিশেষে রোগের সৃষ্টি করে, তখন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে নির্মূল বা সীমাবদ্ধ করে রাখতে ও ব্যর্থ হয়। গ্যারসনই প্রথম প্রকাশ করেন যে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতির সাথে ক্যান্সার জড়িত। এই ধারণাটিতে বর্তমান চিকিৎসাশাস্ত্র ও একমত হয়েছে।
তাই এই পথ্যের পাঁচটি মূলনীতি হলঃ
১। দেহকে বিষাক্ত পদার্থমূক্ত করা/ রাখা।
২। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের কোন ভারসাম্যহীনতা থাকলে তা দূর
করা।
৩। পরিপাক শক্তি পূণরুদ্ধার করা এবং টাটকা সজিব সবজি, বিশুদ্ধ এবং
উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করা খাবার খাওয়া।
৪। সামগ্রিকভাবে এবং বিশেষ পথ্যের ব্যাপারে, ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি
করা এবং তা বজায় রাখা।
৫। পথ্যকে সামগ্রিক একটি কর্মসূচীর অপরিহার্য এবং অত্যাবশ্যক
হিসেবে গন্য করা।

রওশন চৌধুরী- সহ সম্পাদক চেতনা বিডি ডটকম   

Leave A Reply

Your email address will not be published.